ব্রেন ডেড হওয়ার পরও জেগে উঠলেন বছর ১৮-র যুবক! কীভাবে?

ব্রেন ডেড হওয়ার পরও জেগে উঠলেন বছর ১৮-র যুবক! কীভাবে?

04a7c91bd65aae2c5636d7b256f7faa2

লন্ডন: যেকোনও জটিল কেসেই চিকিৎসকরা মিরাকেল শব্দটা ব্যবহার করে থাকেন৷ সেইরকম একটি ঘটনায় মিরাকেল ঘটল লন্ডনের লুইস রবার্টসের ক্ষেত্রে৷ চিকিৎসকরা ব্রেন ডেড ঘোষণা করে দেওয়ার পর অঙ্গদান করার সিদ্ধান্তও নিয়ে নিয়েছিল পরিবার৷ এরপরই ঘটল মিরাকেল বা চমৎকার৷ বিশ্বে লুইসই দ্বিতীয় রোগী, যার ক্ষেত্রে এমন ঘটল৷ লুইসকে সুস্থ করে তোলার খরচ জোগাড় করতে সবার কাছে সাহায্য চেয়েছে তাঁর পরিবার৷ ওই দুর্ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে৷

গত ১৩ মার্চ ইংল্যান্ডের স্ট্যাফোর্ডশায়ারের বাসিন্দা ১৮ বছরের লুইস রবার্টস নিজের শহরেই একটি গাড়ির ধাক্কায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান৷ তাঁকে আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হয় রয়্যাল স্টোকস ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে৷ নিজে থেকে শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতাও ছিল না তাঁর৷ চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টার করেও কিছু করতে পারেননি৷ চারদিন বাদে চিকিৎসকরা তাঁর পরিবারকে জানিয়ে দেন, সব আশা শেষ এবং তাঁর ব্রেন ডেড হয়েছে বলে ঘোষণা করেন৷ লুইসকে চিরবিদায় জানানোর জন্য পরিবারের সদস্যদের মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়৷ এর পর চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে লুইসের অঙ্গগুলি আরও সাতজনকে দান করার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর পরিবার৷ কিন্তু হঠাৎ করেই অঙ্গদানের কয়েক ঘণ্টা আগে নিজে থেকে লুইস ফের স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে শুরু করায় চিকিৎসকরা অবাক হয়ে যান৷ শুধু তাই নয়, চোখ মেলেও তাকান লুইস৷

এই মিরাকেল দেখে লুইসের সুস্থ হওয়া নিয়ে আশাবাদী লুইসের পরিবার৷ কীভাবে লুইস নিজে থেকে শ্বাস নেওয়া শুরু করল, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে লুইসের দিদি জেড রবার্টস বলেন, লুইসকে বিদায় জানাতে পরিবারের সবার সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের হাত ধরে তিনি বলেন, ‘শ্বাস নে লুইস’! হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল, লুইস নিজে থেকে শ্বাস নিলে শয্যার পাশে মনিটরে একটি খয়েরি রঙের রেখা দেখা যাবে৷ কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করলেও সেই রেখা দেখা যায়নি৷ নিজের ফেসবুক পোস্টে লুইসের দিদি লিখেছেন, ‘মাঝরাতে আমি যখন বললাম লুইস শ্বাস নে, তখন মনিটরের মাঝখানে একটি খয়েরি রেখা দেখা যায়, তার মানে লুইস নিজে থেকে শ্বাস নিচ্ছে৷ আমি যখন হাসাপাতালে বললাম খয়েরি রেখা দেখেছি, আমাকে বলা হয় এটা অসম্ভব৷ ‘

লুইসের দিদির সংযোজন, হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসার পরই ফের হাসপাতাল থেকে ফোনে লুইসের পরিবারকে জানানো হয়, সত্যিই তিনি নিজে থেকে শ্বাস নিচ্ছেন৷ চোখও খুলছেন৷ লুইসের পরিবার তো বটেই, এমনকি চিকিৎসকরদের কাছেও এই ঘটনা চমৎকার বলেই মনে হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *