বেতন বিভ্রাট, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সিদ্ধান্ত খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে

বেতন বিভ্রাট, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সিদ্ধান্ত খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে

কলকাতা: বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের এক অধ্যাপিকার বর্ধিত ভাতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে৷ এই  মামলায় আজ আদালত জানায়, বিশ্বভারতীর নির্ধারিত নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারেন না উপাচার্য৷ নিয়ম মেনেই তাঁকে কাজ করতে হবে৷ মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

আরও পড়ুন- দেবাংশুদের আশ্রয় দেওয়া ৫ তৃণমূল নেতা গ্রেফতার, উত্তপ্ত ত্রিপুরা

উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বেতন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানান। বিশ্বভারতীর নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিলে  ৮ জন অধ্যাপক নিয়ে গঠিত কর্ম সমিতি তার সমাধান করে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর উপাচার্য শুনানির জন্য একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেন। উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, বিশ্বভারতীর নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনও ভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না উপাচার্য। তাই বেতন সংক্রান্ত সমস্যার শুনানি কর্ম সমিতিকেই নিতে হবে। উপাচার্যের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- দিলীপে ক্ষুব্ধ কাউন্সিলরের স্বামী! ‘ল্যাম্পপোস্ট’ মন্তব্যে ছাড়তে পারেন দল

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে  শিক্ষকতা করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনে মণিপুরী নৃত্যের অধ্যাপিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন। সেই সময় তিনি ৫টি বর্ধিত ভাতার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তাঁকে চারটি বর্ধিত ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজে যোগ দিতে বলে৷ কিন্তু, ২০২০-র জুনে বিশ্বভারতীর কর্মসমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৪ সাল থেকে ওই অধ্যাপিকাকে যে চারটি বর্ধিত ভাতা দেওয়া হয়েছে, তা কেটে নেওয়া হবে। এর পরেই আইনি পথে হাঁটেন শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *