কলকাতা: দীর্ঘ দিন ধরে জোড়াফুলের হয়ে গলা ফাটালেও তাঁর ভাগ্যে ভোটের টিকিট জোটে নি। আর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে এ নিয়ে ব্যাপক প্রশ্নবাণ তথা বিদ্রুপের মুখোমুখি হতে হয়েছে দলের একনিষ্ঠ সমর্থক দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। তবে ভোটের টিকিটটাই যে তাঁর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের মূল উদ্দেশ্য নয়, জোর গলায় তা বারবার জানিয়ে এসেছেন ঘাসফুলের এই তরুণ মুখপাত্র। প্রথম দফা নির্বাচনের তিন দিন আগে দলের প্রতি নিঃস্বার্থ এই আত্মনিবেদনেরই আরো এক বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন তিনি।
পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মানুষ আসেননি, আগামী ১০০ বছরেও এমন মানুষের আর্বিভাব হবে না, এদিন এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। ভারতবর্ষে এত স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ থাকতে কেন ছোটোবেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি জমাতেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরেই এদিন উক্ত মন্তব্য করেছেন দেবাংশু। সেই সঙ্গে বরাবরের মতো আগামী নির্বাচনে দলের জয়ের জন্য যে তিনি আত্মবিশ্বাসী, জানিয়ে দিয়েছেন তাও।
কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমন দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন? দেবাংশু জানিয়েছেন, তৃণমূল সুপ্রিমোর নেতৃত্বে যে সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে বাংলা, তা আর কারোর মাথায় আসেনি কখনো। এ প্রসঙ্গে কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্পের নিদর্শন তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর মতে, গত দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গের অগ্রগতি যুগান্তকারী।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনের আগে ‘সুপারহিট’ স্লোগান “খেলা হবে”। শাসকদলের তরফেই একুশের ভোট পূর্ববর্তী আবহে এই স্লোগানকে প্রথম সামনে আনা হয়েছিল। তারপর অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকেই “খেলা হবে”র সুরেই পাল্টা সুর মেলাতে দেখা গেছে। “খেলা হবে”কে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেবাংশু ভট্টাচার্যের অবদান উল্লেখযোগ্য। তৃণমূল শিবিরের এই তরুণ সমর্থকের আত্মবিশ্বাসকে সার্থক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য নীল বাড়ির মসনদে বসতে পারেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।