অন্ধ্রপ্রদেশ: বন্ধুর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন ইয়েরিচারলা কিরণ কুমার নামক এক দলিত যুবক। অতিমারির সময় মাস্ক না পরে বের হওয়ায় গুন্টুরের প্রকাশম জেলার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরিবারের দাবি, এরপরে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের তরফে অভিযোগ, মাস্ক না পরার অপরাধে এমন পুলিশি অত্যাচার স্রেফ দলিত হওয়ার জন্যই। পাল্টা তত্ত্ব খাড়া করেছে প্রকাশম পুলিশ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারের পর জিপে করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালাতে যায় কিরণ কুমার। চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দেওয়ায় পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি।
আরও পড়ুন: ২ সন্তানকে লেখাপড়া শেখাতে গরু বেচে স্মার্টফোন কিনলেন অসহায় বাবা
গোটা ঘটনা নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনদের দাবি, অতিমারির পরিস্থিতিতে মাস্ক অতি অবশ্যই পরা উচিত। কিন্তু তা না পরা এত বড় অপরাধ নয় যে পুলিশের অত্যাচারের শিকার হতে হবে। নেটিজেনদের অনেকেই কিরণ রেড্ডির পরিবারের অভিযোগকে সমর্থন করছেন। তাঁদেরও দাবি কিরণ দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় আজ তাঁর মৃত্যু ঘটল। উচ্চবর্ণের হলে এমন কিছুই ঘটত না বলে মনে করছে সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে মৃত যুবকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: অদম্য লড়াই, প্রখর মেধার জোড়ে দ্বাদশে ৯৯.২% নম্বর নিয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় শ্রমিক-পুত্র
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা ১৮ জুলাইয়ের। কিরণ কুমার এবং শাইনি আব্রাহাম নামক দুই যুবক মোটরবাইকে চেপে বেরিয়েছিলেন। তাঁদের মুখে মাস্ক ছিল না। কোথাপেট চেকপোস্টে পুলিশ তাঁদের দাঁড় করায়। মাস্ক কেন পরা নেই, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হয়। পুলিশের অভিযোগ দুই যুবকই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। আচমকা দুই যুবক পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ এসআই বিজয় কুমারের কাছে খবর যায়। এরপর জিপে করে দু’জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে নারায়ণা স্কুল মোড়ের কাছে জিপ থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে কিরণ। তাতেই মাথায় চোট লাগে তাঁর। কিরণের বাবা ইতিমধ্যেই সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ করেছেন। চলছে তদন্ত।