কাকভোরে নবান্ন চত্বরে ডিএ আন্দোলনকারীরা, ধর্নায় বসতে বাধা পুলিশের, তুমুল অশান্তি

কাকভোরে নবান্ন চত্বরে ডিএ আন্দোলনকারীরা, ধর্নায় বসতে বাধা পুলিশের, তুমুল অশান্তি

da

কলকাতা: কাকভোরে নবান্ন চত্বরে ধুন্ধুমার৷  ধর্নায় বসতে চাওয়া ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে চরম বচসা পুলিশের৷ বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাই কোর্ট নবান্ন চত্বরে আন্দোলনে বসার অনুমতি দিয়েছিল যৌথ মঞ্চের সদস্যদের। সেই মতো তাঁরা রাতেই ধর্নায় বসার জন্য চলে আসেন৷ কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের৷ সেই সময় চলে গেলেও জানান সকাল হলেই তাঁরা আসবেন। ভোরের আলো ফোটার আগেই নবান্নের কাছে পৌঁছে যান আন্দোলনকারীরা।

এদিকে, আন্দোলনকারীদের আটকাটে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ৷ তা নিয়েই ঝামেলার সূূত্রপাত৷ বাধা পেয়ে নবান্নের সামনে রাস্তার উপরেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সেখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি শুরু করে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা উঠতে না চাইলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ৷ এদিকে নবান্নের সামনে রাস্তা জুড়ে আন্দোলনকারীরা বসে পড়ায় জানজটের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, হাই কোর্ট নবান্নের কাছে বাসস্ট্যান্ডে ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু পুলিশ তাদের সেখানে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে৷ 

কোর্টের আর্ডার হাতে নিয়ে রাস্তায় বসে পড়া এক আন্দোলনকারী পাল্টা পুলিশের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘কতটাকা ডিএ পান আপনি? আপনার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ কী?’’ ডিএ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, কোর্ট তাঁদের যে জায়গায় বসার অনুমতি দিয়েছিল, পুলিশ তাঁদের সেখানে বঢুকতে দিচ্ছে না৷ তাই বাধ্য হয়েই রাস্তার উপর বসেছেন৷ ব্যারিকেড সরালেই তাঁরা উঠে যাবেন৷ রাস্তায় বসেই রীতিমতো বাজনা বাজিয়ে শুরু হয় স্লোগানবাজি৷

১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর নবান্নর সামনে অবস্থান বিক্ষোভ ও সভা করার অনুমতি চেয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা৷ তবে সেখানে সভা করার অনুমতি দেয়নি হাওড়া পুলিশ। এর পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা৷ সেই মামলা গ্রহণ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ সেই সময়ই মামলাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘হাওড়ার যেখানে আপনারা সভা করবেন বলছেন তা অত্যন্ত ব্যস্ত জায়গা। তাই সেখানে সভা করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।’

বৃহস্পতিবার বিচারপতি সেনগুপ্ত এজলাসে না বসায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মামলা শোনেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি শুনানি শেষে আন্দোলনকারীদের নবান্নের সামনে সভা করার অনুমতি দেন৷ তবে ৫০০ জন নয়, ৩০০ জনকে জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়।  ৭২ ঘণ্টা সভা ও অবস্থান করার অনুমতি পেয়েই নবান্নের সামনে হাজির হন ডিএ আন্দোলনকারীরা৷ কিন্তু সেখানে পুলিশি বধার মুখে পড়তে হয় তাদের৷ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ‘‘নবান্ন বাস টার্মিনাসে ২০০০ স্কোয়ারফুট জায়গায় বসার অনুমতি দিয়েছে আদালত৷ পুলিশ আদালতের রায় মানতে চাইছে না৷ আমরা এ রাজ্যেরই সরকারি কর্মচারী৷ শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজেদের বক্তব্য রাখার সুযোগটুকুও আমাজের নেই৷ একটা মিছিল করার জন্যেও আদালতে যেতে হচ্ছে৷’’  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =