cyclonic storm
কলকাতা: অষ্টমীর বিকেল থেকেই মুড বদলাচ্ছিল আবহাওয়ার৷ নবমীর সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা৷ দশমীতেও সেই ট্রেন্ড অব্যাহত। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, নবমীর রাতে বঙ্গোপসাগরের বুকে যে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল, সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দশমীর সকালের মধ্যেই তা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের আরও কাছে এসে উপস্থিত। দিল্লির মৌসম ভবন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে দিঘা থেকে মাত্র ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে এর অবস্থান ২১০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম৷ আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, নিম্নচাপটি প্রতি ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার গতিবেগে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে থেকে উত্তর-উত্তরপূর্বে সরতে সরতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের দাপটে মঙ্গলবার দশমীর পাশাপাশি একাদশীর দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷
হামুনের জেরে রাজ্যের মোট ৬টি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা ছাড়া বাকি জেলাগুলি হল- উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুর৷ এই ছয় জেলায় মঙ্গলবার দিনভর বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় দাপট দেখাবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে৷ ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে৷ দশমীর সকাল থেকে একাদশীর সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে সতর্ক করা হয়েছে৷
এই সময় সাগর উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে ‘হামুন’ মুখ ঘুরিয়ে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দিকে চলে যাবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন৷ আগামী ২৫ অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে তত ক্ষণে শক্তিহারিয়ে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলেই আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস৷