আসছে ঘূর্ণিঝড়! কতটা শক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে মিগজাউম? রাজ্যের কোথায় কোথায় দুর্যোগ?

আসছে ঘূর্ণিঝড়! কতটা শক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে মিগজাউম? রাজ্যের কোথায় কোথায় দুর্যোগ?

cyclone michaung

কলকাতা:  শীতের আগমনী বার্তায় বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিল বঙ্গবাসী৷ কিন্তু ইনিংস শুরুর আগেই দক্ষিণবঙ্গে শীতের পথে কাঁটা হয়ে বিঁধল নিম্নচাপ৷ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের বাউন্সারে কুপোকাত শীত৷ আগামী সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সপ্তাহের শুরু থেকেই মেঘের চাদরে ঢাকা পড়বে আকাশের মুখ৷ বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কিছু জেলায়।

  

দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, শনিবারই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। রবিবার তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে৷ এই ঝড়ের নাম হবে মিগজাউম৷ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই সিস্টেমটি রবিবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে এবং সোমবার দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে এসে পৌঁছবে। তারপর গতিপথ বদলে উত্তর দিকে এগোবে মিগজাউম। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার দুপুর বা বিকেলের মধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও মছলিপত্তনমের মাঝামাঝি অংশ সম্ভবত আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়৷ ল্যান্ডফলের সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৮০ থেকে ৯০ গাস্টিং ১০০ কিমি।

এই মুহূর্তে এর অবস্থান ঠিক কোথায়? 

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বর্তমানে এই নিম্নচাপটির অবস্থান চেন্নাই থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ৪৫০ কিলোমিটার, দুচেরি থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বে এবং মাছলি পাটনাম থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে।

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরি উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আজ থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ উড়িষ্যা উপকূলেও সোম ও মঙ্গলবার সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ মৎস্যজীবীদের।

কতটা প্রভাব এ রাজ্যে 

এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনও প্রভাব আমাদের রাজ্যের উপর পড়বে না বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। তবে মিগজাউমের প্রভাবে উত্তর ও উত্তর পূর্ব ও পূর্ব দিক থেকে বাতাস বইবে। এই হাওয়ার সঙ্গেই রাজ্যের বাতাসে মিশবে জলীয়বাষ্প। যার ফলে মেঘের পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে। আকাশ মেঘলা হতেই বাড়বে তাপমাত্রা৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সকাল-সন্ধ্যায় হালকা শীত শীত ভাব থাকবে

আপাতত শীতের আমেজ উধাও হলেও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটতেই ফের নামতে থাকবে তাপমাত্রা৷ তার আগে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। বরং ৬ এবং ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে৷ মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতেও৷ ৯ তারিখ থেকে আবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ ঘটবে পারদ পতন৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 2 =