চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। আরব সাগরে ঘণীভূত ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় নিয়ে ফের সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা অনুযায়ী, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’। আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হতে পারে ‘বিপর্যয়’। পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপর অবস্থান করছে এই ঝড়।
বিপর্যয় তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে তা উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিকে অগ্রসর হবে। শুক্রবার সকালে গোয়া থেকে ৮৪০ কিমি দূরে রয়েছে ‘বিপর্যয়’। মুম্বই থেকে ঝড়ের দূরত্ব ৮৭০ কিমি। পোরবন্দর থেকে ৮৯০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। পাকিস্তানের করাচি থেকে ১১৭০ কিমি দূরে রয়েছে এই ঝড়। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের জেরে লাক্ষাদ্বীপ, গোয়া, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রতে তার প্রভাব পড়তে পারে। এই রাজ্যগুলিতে বিপর্যয়ের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে।
ভারতে এই ঝড়ের প্রভাব সেভাবে পড়বে না বলেই জানা গিয়েছে। তাণ্ডব চালাতে পারে পাকিস্তানের করাচিতে। আবহাওয়াবিদদের তরফে আরও জানানো হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি ক্রমশই স্পষ্ট হবে। তবে ঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। পোরবন্দরে সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে। গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেট সিস্টেমস জানাচ্ছে, আরব সাগরে উৎপন্ন এই ঘূর্ণিঝড় বর্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমঘাট পর্বতমালা পর্যন্ত বর্ষা পৌঁছলেও তা আর এগোতে পারছে না।