cv anand bose
কলকাতা: অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছিল, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ও সাংবিধানিক প্রধানের সম্পর্কের মধ্যে ইগো থাকা উচিত নয়। কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, রাজ্যপাল বরং মুখ্যমন্ত্রীকে কফির নিমন্ত্রণ জানাতে পারেন। তার পর আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে নিতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের সেই পরামর্শ মেনেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর জবাবের অপেক্ষায় রাজভবন।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালকে বলেছিল মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করতে৷ প্রথম দফায় উনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। সেটা ভাল খবর৷”
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই যেভাবে একের পর এক অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করা শুরু করেছিলেন, তাতে আপত্তি জানায় রাজ্য রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় এ রাজ্যের শাসদ দল৷ সেই মামলায় রাজ্যপাল হেরে যান। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, রাজ্যপাল আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। আদালত আরও জানায়, রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে যাঁদের নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন না।
একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য ছিল, মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তা বলে কি দু’জন মানুষ কফির টেবিলে বসে আলোচনা করতে পারে না? মুখোমুখি বসলে অনেক সমস্যার সমাধানই সহজে হয়ে যায়।