csc
কলকাতা: স্কুলের পর কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ৷ সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের যে প্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশের বিষয়ে কলেজ সার্ভিস কমিশনের কাছে হলফনামা তলব করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে গেল কলেজ সার্ভিস কমিশন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন নিয়োগে স্বচ্ছতার জন্য প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর সামনে আসাটা জরুরি। তবে এই বিষয়ে আগে কলেজ সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য শোনাটাও জরুরি৷ তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৬ অক্টোবরের মধ্যেই হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সিএসসির তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে জানান, এত কম সময়ের মধ্যে সব প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর সহ তালিকা উল্লেখ করে হলফনামা দেওয়া সম্ভব নয়। ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। আগামীকাল এই মামলার শুনানি সম্ভাবনা রয়েছে৷
সম্প্রতি মোনালিসা ঘোষ নামে এক চাকরি প্রার্থী কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন। তাঁর বক্তব্য, সিএসসি শুধুমাত্র প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু, কে কত নম্বর পেয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিটি প্রার্থীরই মাধ্যমিক থেকে পিএইচডি পর্যন্ত ডিগ্রির জন্য আলাদা আলাদা নম্বর বরাদ্দ থাকে। সেই নম্বর যোগ করে কে কত পেয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি। নম্বর সহ তালিকা প্রকাশের দাবিতে মামলা করেছেন তিনি।
মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, বিভিন্ন বিষয়ে সিএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের প্যানেল প্রকাশিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তালিকা৷ নিয়োগ প্যানেলে নামের তালিকা দেওয়া হলেও, সেখানে প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ নেই। ফলে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সিএস্সি-র আইনজীবী অবশ্য এ বিষয়ে বলেন, শিক্ষাগত ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বর, গবেষণাপত্র, ইন্টারভিউ পারফরম্যান্স ইত্যাদি খতিয়ে দেখেই নিয়োগের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।