বাংলায় বাজি নিষিদ্ধ, হতে পারে ৫,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি

ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছেন বাজি ব্যবসায়ীরা।

কলকাতা: ওড়িশা, রাজস্থানের মত পশ্চিমবঙ্গেও বাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রেক্ষিতেই কালীপুজো এবং দীপাবলীর মরসুমে সব রকমের বাজির কেনাবেচা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পরেই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। বাজি ব্যবসায় কমপক্ষে ৫,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে বলে অনুমান।

চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত বাজি কেনা বেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কালীপুজো, দীপাবলি, ছট পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং কার্তিক পুজো উপলক্ষে এই মাসে ব্যাপকহারে বাজি বিক্রি হয় প্রতি বছর। তবে এ বছরের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গে বাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এতেই বড়োসড়ো ক্ষতি হতে পারে বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং ব্যবসায়ীদের। অনুমান করা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবসায় ক্ষতি হবে। অংকের বিচারে তা প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা।

বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজায় মণ্ডপে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্যই বাজি কেনাবেচায় এবং কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং কার্তিক পুজোয় মণ্ডপে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, উৎসব মরসুমে বাজি পোড়ানোর ফলে বায়ু আরো বেশি দূষিত হয়। এই কারণে এ বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে। কারণ অনেকেরই এই সময়ে বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, তাই বাজি পোড়ানোর ফলে ভাইরাস পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই এবছর বাজি কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে একাধিক রাজ্যে।

 

আতশবাজি থেকে যে গ্যাস নির্গত হয় তাতে অনুগত থাকে নাইট্রাস অক্সাইড, সালফার অক্সাইড কার্বন মনো অক্সাইড। এতে সাধারণ মানুষের শরীরের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এখন ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে আতশবাজির কারণে যদি সাধারন মানুষের শরীর আরো খারাপ হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই করোনার প্রকোপ বাড়বে বলে আশঙ্কা। সেই দিকে নজর দিয়েই আতশবাজি বিক্রি এবং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *