নিজস্ব প্রতিনিধি: অনেক হয়েছে, আর নয়। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট অর্থাৎ আসন সমঝোতা নিয়ে বুধবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে চাইছে সিপিএম, এমনটাই খবর আলিমুদ্দিন সূত্রে। সেক্ষেত্রে আরও চাপ বাড়াল কংগ্রেসের উপরে। কারণ এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস হাইকমান্ড বিষয়টি নিয়ে সবুজ সংকেত দেয়নি। তাই বঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোট পুরোপুরি ঝুলে রয়েছে। মঙ্গলবার আলিমুদ্দিনে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই এবং আরএসপির মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বিমান বসুর কাছে বামফ্রন্টের শরিক দলগুলি জানতে চায়, আসন রফা নিয়ে আর কতদিন তাদের অপেক্ষা করতে হবে?
সূত্রের খবর বিষয়টি নিয়ে প্রবীণ সিপিএম নেতা বিমান বসু জানিয়েছেন, দুই এক দিনের মধ্যেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। আসলে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট হলে সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি অতীতের মতো বেশি আসনে লড়ার সুযোগ পাবে না। তাদের ভাগ্যে আগের চেয়ে কম আসন জুটবে। তাই কতগুলি আসন তারা পেতে পারে সেটা শরিক দলগুলিও দ্রুত বুঝে নিতে চাইছে। সেই সূত্রে তারা চাপ বাড়াচ্ছে সিপিএমের উপর। এই আবহের মধ্যে বল রয়েছে কংগ্রেসের কোর্টে। তাই সকলেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তবে শুধু বামফ্রন্টের শরিক দলগুলি নয়, সিপিএমের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আইএসএফ। তারা অন্তত পক্ষে সাতটি আসন দাবি করছে সিপিএমের কাছ থেকে। যদিও সিপিএম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কোনও ভাবেই আইএসএফকে দুটির বেশি আসন ছাড়া হবে না। কিন্তু সবটাই নির্ভর করছে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট হয় কিনা তার উপর। কারণ আগেই কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছিল জোট হলে তারা অন্তত পক্ষে বারোটি আসনে লড়বে। সেক্ষেত্রে বামেদের হাতে থাকবে ৩০ টি আসন। সেক্ষেত্রে শরিক দলগুলির পাশাপাশি আইএসএফ’কে আসন ছেড়ে সিপিএম কতগুলিতে শেষ পর্যন্ত লড়তে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল ৪২টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। ১৯টি আসনে বিজেপির প্রার্থী তালিকাও ঘোষিত হয়েছে। দুই দলের প্রার্থীরাই প্রচারে নেমে গিয়েছেন। কিন্তু বাম-কংগ্রেস কোন পথে শেষ পর্যন্ত হাঁটবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিষয়টি নিয়ে হেস্তনেস্ত চাইছে সিপিএম। তাই পুরো বিষয়টি অনুধাবন করে কংগ্রেস হাইকমান্ড কী বার্তা দেয় এখন সেটাই দেখার।
আরও কতদিন বৃষ্টি? কালীপুজো’ও মাটি! আগামী এক সপ্তাহের ওয়েদার রিপোর্ট | West Bengal Weather Update