কলকাতা: সামনেই ২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখে সাংগাঠনিক প্রস্তুতি অব্যাহত রাখল রাজ্য সিপিআইএম দল। দল বিরোধী কাজের অভিযোগে প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে আসায় তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করল সিপিআইএম। একসঙ্গে রাজ্যসভার বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য'কে রাজ্য কমিটিতে আমন্ত্রণ জানাল দল।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক ফের অনলাইনেই সংগঠিত হয়েছে। গত বার আলিমুদ্দিনে কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। ফলে শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমেই এই বৈঠক করা হয়। এদিন দিল্লি থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর অনুমোদনেই সুশান্ত ঘোষকে সাসপেন্ড এবং বিকাশরঞ্জন'কে রাজ্য কমিটিতে আনার প্রস্তাব নেয় দল।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সহ বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রের মতো দলীয় কর্মীদের নামে অনলাইন পোর্টালে ও বই'য়ে লিখে সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে বিষোদগারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। পাশাপাশি আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই কারণে সুশান্ত ঘোষ'কে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর আসন থেকে সরিয়ে জেলা কমিটির সদস্য করেছিল সিপিএম।
এরপর দলীয় স্তরে কমিশন গড়া হয় সুশান্ত বাবুর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য। জেলা নেতৃত্ব সুশান্তবাবু্কে বহিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে এ যাত্রায় রেহাই পেলেন সুশান্ত ঘোষ। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের জানান, ‘‘প্রকাশ্যে যে ভাবে সুশান্ত বাবু ধারাবাহিক বিষোদগার করেছেন, তা ‘বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ’। কিন্তু তিনি ভুল স্বীকার করেছেন ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তাই ওঁকে একবার সুযোগ দেওয়া হল।’’ পাশাপাশি দল বিরোধী কাজ ও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শ্যামল মাইতি'কে সব কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নয়েছে দল।
অন্যদিকে এদিনের বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সকল শক্তিকে একজোট করতে হবে। রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র পুরসভা নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বিধানসভা ভোটেই বুথ কমিটি গড়ার কথাও বলেছেন তিনি।