নয়াদিল্লি: সারা দেশজুড়ে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন৷ প্রায় ঘরে ঘরে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে৷ এই অবস্থায় কোভিড আক্রান্তদের পাশাপাশি বাড়ির বাকিদেরও সাবধানে চলতে হবে৷ সংক্রমণ রুখতে সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে৷
আরও পড়ুন- ২ লক্ষ ছুঁইছুঁই দেশের দৈনিক আক্রান্ত, বাড়ছে ওমিক্রনও
বাড়িতে কোভিড আক্রান্ত রোগী থাকলে, সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে শৌচাগার নিয়ে৷ এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা৷ ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন গবেষক পরীক্ষার পর জানিয়েছেন যে, বাড়ির মধ্যে কোভিডের জীবাণু সবচেয়ে বেশি সময় সক্রিয় থাকতে পারে শৌচাগার বা বাথরুমে৷
কিন্তু, কেন এমনটা হয়?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিডের জীবাণু মানুষের ফুসফুসে থাকার সময় বেঁচে থাকার জন্য আর্দ্র পরিবেশকে কাজে লাগায়। নিঃশ্বাসের সঙ্গে মুখ দিয়ে এই জীবাণু বাইরে বেরিয়ে আসার পর তা বেশি ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না। প্রশ্ন হল, কোথায় কত ক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিডের জীবাণু? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে-
• যেখানে বাতাসে আর্দ্রতার খুবই কম, ৪০ শতাংশের নীচে (প্রচণ্ড শুকনো পরিবেশ এবং খোলা জায়গা), সেখানে মাত্র ৫ সেকেন্ড বেঁচে থাকার ক্ষমতা রয়েছে এই জীবাণুর।
• যেখানে বাতাসের আর্দ্রতার মাত্রা ৪০ শতাংশ, সেখানে এটি বাতাসে ১০ সেকেন্ড বেঁচে থাকতে পারে৷
• শোওয়ার ঘরের মতো জায়গায় কয়েক মিনিট পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
• কিন্তু এই জীবাণু সবচেয়ে বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে শৌচাগারে৷ কারণ এখানেই আর্দ্রতা সবচেয়ে বেশি৷ ৯০ শতাংশেরও বেশি আদ্রতা থাকতে পারে।
তাই ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছে, শৌচাগারে ২০ মিনিট পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে কোভিডের জীবাণু। তাই বাড়িতে কোনও কোভিড আক্রান্ত রোগী বাথরম ব্যবহার করলে, তার ২০ মিনিট পর তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷