নয়াদিল্লি: পরীক্ষা নেওয়া বা না নেওয়া সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাতে ছেড়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি কোনও ভাবেই আইনি পর্যালোচনার মধ্যে পড়ে না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চাইলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা বা সেমেস্টার নিতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে ধরা হবে এক্ষেত্রে।
এদিন আইনের ছাত্র আয়ূষ ইয়েসুদাসের করা পিআইএল মামলার শুনানি করে আদালত। যেখানে আয়ুষ দাবি করেছিলেন, পরীক্ষার ভিত্তিতে নয় বরং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর দুই বর্ষের মোট ২ লক্ষ ৭২ হাজার ২০ জন পড়ুয়ার মূল্যায়ন নির্ভুলভাবে করতে হবে। করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির বেঞ্চ গত ১৪ আগস্টের রায়ে ইউজিসির ৬ জুলাইয়ের গাইডলাইন অনুযায়ী, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেছিল। এই সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সুপ্রিম কোর্ট পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে স্বাধীনতা দিয়েছিল। ইউজিসি ২৭ এপ্রিল একটি নির্দেশিকা জারি করে বলেছিল, কোভিড পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির স্তর, আবাসিক অবস্থা, মহামারীর তথ্য খুঁটিয়ে দেখে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের পরীক্ষা নিতে পারবে। পাশাপাশি ইউজিসি তরফে জানানো হয়েছিল, পরিস্থিতি বেগতিক হলে অভ্যন্তরীন পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০ শতাংশ নম্বর ও বাকি ৫০ শতাংশ নম্বর পূর্ববর্তী সেমিস্টারের ওপর নির্ভর করে ফলাফল ঘোষণা করতে পারবে বিশ্ব বিদ্যালয়।