প্রায় ৪ কোটিতে বিক্রি হয়ে গেল অভিশপ্ত করমণ্ডলের দুমড়ে যাওয়া কামরা-ইঞ্জিন

প্রায় ৪ কোটিতে বিক্রি হয়ে গেল অভিশপ্ত করমণ্ডলের দুমড়ে যাওয়া কামরা-ইঞ্জিন

court 

ভুবনেশ্বর: করমণ্ডল দুর্ঘটনার ক্ষত এখনও দগদগে। ২ জুনের সেই অভিশপ্ত রাতের কথা ভুলতে পারেনি দেশের মানুষ৷ ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভুল লাইনে ঢুকে পড়ায় করমণ্ডলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় একটি মালগাড়ির। প্রবল ধাক্কায় মালগাড়ির উপরে উঠে যায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন ও একাধিক কামরা। লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে পিছনের কামরাগুলিও। সেই কামরাগুলির সঙ্গে আবার ধাক্কা লাগে যশবন্তপুর-হাওড়াগামী হামসফর এক্সপ্রেসের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৯৬ জন যাত্রীর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই ট্রেনের কামরাগুলিই নিলামে তোলে রেল৷ 

গত মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের একটি আদালতের তরফে দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির কামরাগুলি নিলামের অনুমতি দেয়। ট্রেনের ইঞ্জিন সহ মোট ২১টি দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া কামরা, ওয়াগন স্ক্রাপ হিসাবে বিক্রি করার অনুমতি মিলতেই, তা নিলামে ওঠে৷ জানা গিয়েছে, নিলামে সবকটি কামরা ও ওয়াগন মিলিয়ে মোট ৩.৮ কোটি টাকা দাম ওঠে৷ 

দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের খড়্গপুর শাখার ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আদালতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইঞ্জিন, কামরা ও ওয়াগনগুলি বিক্রি করার দাবি জানিয়ে পিটিশন দাখিল করেন। আদালত সিবিআইয়ের কাছে জানতে চায়, এই কামরাগুলি বিক্রি করা হলে, তদন্তে কোনও রকম সমস্যা হবে কি না। সিবিআই ভারতীয় রেলওয়েকে চিঠি লিখে জানায়, করমণ্ডলকাণ্ডে তদন্তের জন্য তাদের আর ক্ষতিগ্রস্ত কামরা, ওয়াগন বা লোগোর প্রয়োজন নেই৷ ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার তদন্তের চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × one =