কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সার্বিকভাবে সংক্রমণের হার কমলেও রাজ্য তথা শহরের পরিস্থিতি যে খুব একটা ইতিবাচক তা নয়। এরই মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। করোনাভাইরাসের দোসর হয়ে রাজ্য তথা শহরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে এই রোগ। ইতিমধ্যে একাধিক করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীর শরীরে ডেঙ্গু মিলেছে। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে সরকারের।
প্রত্যেক বছর ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক থাকে রাজ্যবাসীর। তবে এ বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য হয়তো ডেঙ্গু নিয়ে চিন্তা করা কিছুটা হলেও কমিয়ে দিয়েছিল সকলে। কিন্তু চিন্তা কম করলে যে রোগ কম হবে, এমনটা একেবারেই নয়। তাই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো করোনা আবহে ত্রাস ছড়াতে শুরু করেছে ডেঙ্গু। যদিও ডেঙ্গু রোধে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। জায়গায় জায়গায় সাফাই অভিযান চলেছে, মশা যাতে বংশবিস্তার না করতে পারে তার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক করার কাজও করেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে আতঙ্ক একেবারেই কম হয়নি।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত কিছু মাসে কমপক্ষে ৬০ জন রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস এবং ডেঙ্গুর জীবাণু মিলেছে। শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই ৪০ জনের খোঁজ মিলেছে যারা একই সঙ্গে দুই রোগে আক্রান্ত! করোনা এবং ডেঙ্গুর মিলিত আক্রমণ সামনেতে এখন রীতিমত ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। তবে স্বস্তির খবর একটাই, অন্যান্য বারের মতো এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করেনি এখনও। তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এ বছর এখনো পর্যন্ত ৩০০ জনের খোঁজ মিলেছে। যদিও অনুমান করা হচ্ছে, বছরের শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে।