নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ইতালি থেকে একটা খবর উঠে এসেছে। করোনা আক্রান্ত দিদির দেহকে ৩৬ ঘণ্টা পাহারা দিলেন ভাই। বার বার প্রশাসনকে খবর দেওয়া হলেও, দেহ করোনা আক্রান্তের জেরে কেউ সৎকারে সাহায্য করেনি। এরপরেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মৃত দেহ থেকে কি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অল ইন্ডিয়া ইস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদেহ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, মৃতদেহ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনও আশঙ্কা নেই। একটি সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মূলত শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ থেকে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এই ভাইরাসে সংক্রমণ হলে কাশি হওয়া খুব জরুরি। তাই সংক্রমিত দেহ দাহ করার ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নেই বলেই তিনি মন্তব্য করেছেন।
ইতালির নাপোলি এলাকার বাসিন্দা লুকা ফ্রাঞ্জে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই তাঁর দিদি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার রেজাল্ট হাতে পাওয়ার আগেই তাঁর দিদি থেরেসা ফ্রাঞ্জের মৃত্যু হয়। এরপর যুবক বার বার দেশের প্রশাসনকে সৎকারের জন্য সাহায্যের আবেদন করেন। কিন্তু করোনা রোগী সন্দেহে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে চাননি। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পরে সংক্রমণ প্রতিরোধী পোশাক পরে পুলিশ আসে। স্থানীয় কয়েকজনের সাহায্যে থেরেসা ফ্রাঞ্জের সৎকার করা হয়। ওই যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ৩৬ ঘণ্টা ধরে বার বার প্রশাসনকে ফোন করার পরেই তাঁরা এসে মৃতদেহ নিয়ে যায়নি সৎকারের জন্য। ৩৬ ঘণ্টা করোনা আক্রান্ত মৃতদেহের সঙ্গে থাকতে হয়েছে। দিদির দেহ পাহারা দিতে হয়েছে। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, এবার যদি তাঁর করোনা ভাইরাস হয়, তার দায় কে নেবে? জানা গিয়েছে সৎকারের পর ওই পরিবার নিজেদের কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে।