করোনা: বন্ধ হাইকোর্ট-সহ বাংলার সব আদালতের স্বাভাবিক কাজ, জারি নির্দেশ

করোনা: বন্ধ হাইকোর্ট-সহ বাংলার সব আদালতের স্বাভাবিক কাজ, জারি নির্দেশ

41bca947949901337221655bc4667d48

কলকাতা: করোনার কাঁপুনি এবার কলকাতা হাইকোর্টেও৷ সোমবার থেকে বন্ধ হাইকোর্টের স্বাভাবিক কাজ৷ আদালতে কর্মী কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বাড়ি থেকে কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে বলে আদালত সূত্রে খবর৷ আগামীকাল থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সমস্ত গেটে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে বলে খবর৷ জরুরি শুনানি ছাড়া আর কোনও মামলা শোনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এজলাসে শুধুমাত্র মামলাকারী ও আইনজীবীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে৷

আজ রবিবার গোটা হাইকোর্ট চত্বরে শুরু হয় সাফাই পর্ব৷ শুনশান কলকাতা হাইকোর্ট চত্বর৷ জানা গিয়েছে করোনাভাইরাস আতঙ্কে আগামী সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত কাজ নিয়ন্ত্রিত হবে৷ কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ, আন্দামান-নিকোবর সার্কিট বেঞ্চ, জেলা ও মহকুমা আদালত সহ কলকাতা হাইকোর্টের মূল কাজকর্ম গতি বেশ খানিকটা কমবে৷ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই আদালতে কর্মীদের সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কর্মীসংখ্যা কমানো হলেও বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ থাকছে কর্মীদের৷

করোনা রুখতে আজ দিনভর হাইকোর্ট চত্বরে সাফাই কাজ শুরু হয়৷ করোনা রুখতে জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতিদের একটি বিশেষ কমিটির৷ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিচারপতিদের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত কাজ নিয়ন্ত্রিত হবে৷ অর্ধেক বা তারও কম কর্মীসংখ্যা চলবে আদালতের কাজ৷ কর্মী সংখ্যা কম থাকলে আদালতের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে৷ অর্ধেক কর্মীসংখ্যা দিয়ে আদালত চালানোর কথা জানানো হয়েছে জেলা থেকে শুরু করে মহাকুমা আদালতেও৷ জমায়েত বা ভিড় এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর৷

আদালত চত্বরে কোন জমায়েত না করার বিষয়ে জানানো হয়েছে৷ শুধুমাত্র জরুরি ভিত্তিতে যে সমস্ত মামলাগুলি কলকাতা হাইকোর্ট বাজেলার আদালতে আসবে, সেগুলির গুরুত্ব বিবেচনা করে শুনানি করা হবে৷ একইসঙ্গে এজলাসের মধ্যে শুধুমাত্র আইনজীবী ও মামলাকারী ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বলেও নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত৷ আগামীকাল থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের মামলাকারী ও আইনজীবিদের থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে৷ কোন রকম সন্দেহ দেখা দিলে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে৷  পরিস্থিতি বিবেচনার জন্য আগামী ২০ মার্চ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *