নয়াদিল্লি: দু'দিন আগেই ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার কথা বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। পরিসংখ্যান তুলে ধরে ফের আশঙ্কা প্রকাশ। আগামী সাত দিনে এই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ হতে পারে বলেই দাবি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। ভারতে কোভিড ১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দ্রুত ঘটছে বলেই জানা গেছে৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া করোনা রিপোর্ট অনুযায়ী, গত দু'দিনে ১৩ শতাংশ হারে আক্রান্ত বেড়েছে এই দেশে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ৬৭,১৫২ জন আক্রান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। গত মাসের পর থেকেই হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শনিবার সকালের রিপোর্ট অনুসারে, আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে অন্যান্য অধিকাংশ দেশকেই ছাপিয়ে গেছে ভারত। গত ১০ দিন আগে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার দ্বিগুণ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে সোমবার। এই হারে যদি বাড়তে থাকে তাহলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ১ লক্ষে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসা পরিকাঠামোর প্রসঙ্গ টেনে আরও সঙ্কটজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন দেশবাসী, এমনও আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। সংবাদসূত্রের দাবি, মুম্বইয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে করোনার। দেশের সমস্ত জেলাগুলির পরিসংখ্যানের নিরিখে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মুম্বইয়েই। ১৩,৬৯১ জন আক্রান্ত। এরপরেই রয়েছে গুজরাটের আমেদাবাদ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৮১৮। এরপর যথাক্রমে তামিলনাড়ুর চেন্নাই (৩,৮৪০ জন), মহারাষ্ট্রের পুনে (২,৩৬৫ জন), মহারাষ্ট্রের থানে (২,২৫৭ জন)।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট আক্রান্তের ৫৮ শতাংশই রয়েছে ওই পাঁচ জেলায়। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ১,৮৫৮ জন, রাজস্থানের জয়পুরে ১,২০৫ জন, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ৯৭৫ জন, রাজস্থানের জোধপুরে ৮৯৮ জন ও গুজরাটের সুরাটে ৮৯৫ জন করোনা আক্রান্ত। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের ৫৭ শতাংশই রয়েছে প্রথম সারির ওই ১০ জেলায়। রাজ্যের নিরিখে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তে ঘটনায় শীর্ষে মহারাষ্ট্র (১৭,১৪০ জন আক্রান্ত)। এরপরই তামিলনাড়ু (৫,১৯৮জন), গুজরাট (৫,১৫৬ জন), দিল্লি (৪,৭৮১ জন)।
আরও বিস্তারিত দেখুন- https://www.livemint.com/news/india/at-current-trajectory-india-s-case-count-likely-to-reach-100-000-in-7-days-11589178347610.html এই লিঙ্কে৷