করোনা কাঁটায় ভেস্তে যাবে পুর-নির্বাচন? দিলীপকে সমর্থন পার্থর!

করোনা কাঁটায় ভেস্তে যাবে পুর-নির্বাচন? দিলীপকে সমর্থন পার্থর!

cc953bb7a3d1c71008cb692303dd7fd4

কলকাতা: করোনার ত্রাসে স্তব্ধ গোটা দেশ৷ গৃহবন্দি গোটা বিশ্ব৷ প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও৷ মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশীয় শেয়ারবাজার৷ করোনা রুখতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার৷ বন্ধ হয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ হাইকোর্টেরও স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ এবার করোনা কাঁটা দেখা দিতে চলেছে পুরসভা নির্বাচনেও৷ পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তৃণমূলকে সমর্থন যুগিয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

পুরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে সোমবার সর্বদল বৈঠকে ডাক দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ সোমবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই আজ বেহালা পূর্বে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

জানিয়েছেন, ‘‘আগামীকাল নির্বাচন কমিশনের সর্বদল বৈঠক রয়েছে৷ সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন৷ আমি দীলিপবাবুর কথা শুনেছি৷ উনি পিছিয়ে দিতে চেয়েছেন৷ আমরাও জানি, আমাদের দলের অভ্যন্তরেও আলোচনা চলছে৷ কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনে কাল মিটিং ডাকা আছে৷ সুতরাং কাল দেখা যাবে৷ এটা এখন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ কোন সন্দেহ নেই৷’’ পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়েও সওয়াল করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী করোনা হয়৷ নির্বাচন হলে বহু ভাইরাস রাস্তায় বেরিয়ে পরে৷ সেখান থেকেও সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের৷ আমার মনে হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, যদি বাড়াবাড়ি হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত৷’’

সূত্রের খবর, ভোট পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে রাজ্যপালের পরামর্শ নিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে পারে নির্বাচন কমিশন৷ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই৷ আইন শৃঙ্খলা মেনে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা উচিত৷ সবাইকে নির্দেশ মেনে চলা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি৷ একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রুখতেও আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল৷ ইঙ্গিত দিয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, দেশে এখন অবসর কাটানোর সেরা উপায় হচ্ছে রাজনীতিকরণ৷ সেটাও এখন কিছুটা বন্ধ থাকা উচিত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *