বৃষ্টির ভ্রুকুটি উপেক্ষা করেই ফুটপাতে চলছে হবু শিক্ষকদের লাগাতার অনশন আন্দোলন

বৃষ্টির ভ্রুকুটি উপেক্ষা করেই ফুটপাতে চলছে হবু শিক্ষকদের লাগাতার অনশন আন্দোলন

23ecdc4f76e5f906c837163385337f8d

কলকাতা:  এক করোনার দাপট৷ তার উপর ঘূর্ণাবর্ত আর নিম্নচাপের জোড়া ফলায় ভাসছে বাংলা৷ কলকাতা জলমগ্ন৷ এই ভরা বর্ষাতেও অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নবম থেকে দ্বাদশ স্তরের মেধা তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা৷ স্কুল সার্ভিল কমিশনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে চলছে লাগাতার বিক্ষোভ৷ টানা ১৪১ দিন ধরে চলছে এই আন্দোলন৷ অনশন চলছে ১৩১ দিন ধরে৷ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা৷ 

আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে নয়া ভাবনা SSC-র! দ্রুত সমাধান

তাঁদের কথায়, দিল্লিতে আন্দোলন চালাচ্ছে কৃষকরা৷ আর শিক্ষকরা দুর্নীতির শিকার হয়ে ফুটপাতে শুয়ে আছে৷ আর কতদিন এ ভাবে রাজপথে কাটাতে হবে তাঁদের? প্ল্যাকার্ড হাতে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ নিজেদের অধিকারের দাবিতেই এই আন্দোলন শুরু করেছেন মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত হবু শিক্ষকরা৷ এক চাকি প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন আয়োজিত প্রথম SLST পরীক্ষা  দিয়ে প্রথম ফেজে ডাক পাওয়া মেধাতালিকা ভুক্ত হবু শিক্ষক। কিন্তু কমিশনের দূর্নীতির কারণে তাঁরা ওয়েটিং লিস্টে পড়ে আছেন। আর যাঁরা সেকেণ্ড ফেজ বা থার্ড ফেজে ডাক পেয়েছিলেন, তাঁরা কমিশনকে মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি করছেন৷

এর প্রতিবাদেই ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে মার্চ মাসে ২৯ দিন অনশন চলেছিল। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজে শিক্ষামন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসে অনশন মঞ্চে এসেছিলেন৷ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যাঁরা মেধাতালিকায় আছে তাঁদের কাউকে বঞ্চিত করা হবে না৷ ২ বথর কেটে গিয়েছে৷ কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। যার জেরে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন মেধা তালিকায় থাকা এই বহু শিক্ষকরা৷ 

বিকাশ ভবন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে উন্নয়ন ভবনের উল্টোদিকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে চলছে তাঁদের অনশন বিক্ষোভ৷  মেধা তালিকায় নাম না থাকা চাকরি প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে৷ চাকরি প্রার্থীদের কথায়, কমিশন যে ভাবে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অকৃতকার্যদের চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে, তা নজিরবিহীন৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *