বাংলায় রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির যোগ? ইডি তদন্তে নয়া মোড়

বাংলায় রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির যোগ? ইডি তদন্তে নয়া মোড়

Bihar

কলকাতা: বাংলার রেশন দুর্নীতির সঙ্গে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির যোগ? রেশন দুর্নীতির শিকড় কতটা গভীরে বিস্তৃত? পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্যের সন্ধান৷ দুর্নীতির গোড়ায় পৌঁছতে তদন্তে ইডি৷ 

সম্প্রতি ডোমজুড়ের একটি প্যাকেজিং সংস্থায় একটানা প্রায় দুদিন ধরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ তদন্তে উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন, ওই প্যাকেজিং সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম একদা জড়িয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে। পরে রাজসাক্ষীও হয়েছিলেন তাঁরা৷ তবে কি মুক্তি মিলতেই এরাজ্যে হানা? বোনেন রেশন দুর্নীতির জাল? ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে মেলান হাত? কেলেঙ্কারির সেই জট খোলার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। 

‘অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড’-এর আটা ও চাল কল, কর্পোরেট অফিস ও ডিরেক্টরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পরেই উঠে আসে দুর্নীতির আরও একটি কালো অধ্যায়৷ ইডি-র দাবি, অঙ্কিত ইন্ডিয়ার দুই ডিরেক্টর দীপেশ ও হিতেশ চন্দককে বিহারের পশু খাদ্য মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিলেন৷ ১৯৯৬ সালে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে ওই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে ছাড়া পান দীপেশ ও হিতেশ৷ ঘটনাচক্রে অঙ্কিত ইন্ডিয়ার এই দুই ডিরেক্টরের নাম উঠে এসেছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠদের তালিকায়৷ 

পশুখাদ্য মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দীপেশ ও হিতেশ চন্দক রাঁচি-র সিবিআই স্পেশাল কোর্টের সামনে তাঁদের বয়ানে লালুপ্রসাদ যাদবকে ৬০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন৷ তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই মামলা অগ্রসর হয় এবং শুনানি করা হয়৷ পরে ওই মামলা থেকে রেহাই পান চন্দকরা। প্রায় ২৭ বছর পর ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে চন্দক পরিবারের এই দুই সদস্য। হাওড়ার ডোমজুড়ে তাঁদের প্যাকেজিং সংস্থায় হানা দিয়ে ইডি-র আধিকারিকরা জানতে পারেছেন, প্যাকেজিং সংস্থার মাধ্যমে FCI-এর পাঠানো চাল, গমে নিজেদের লেবেল সেঁটে বাজারজাত করতেন দুই ডিরেক্টর হিতেশ চন্দক এবং দীপেশ চন্দক। এই ঘটনা প্রবাহ কোনও এক জায়গায় মিলিয়ে দিল পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি ও রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলাকে৷  

অঙ্কিত ইন্ডিয়ার একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়ে বহু তথ্য উঠে এসেছে ইডি আধিকারিকদের হাতে৷ প্রশ্ন উঠেছে, পশুখাদ্য মামলা থেকে নিস্তার পাওয়ার পরই কি দীপেশ ও হিতেশ চন্দক এরাজ্যের রেশন বন্টন দুর্নীতিতে হাত পাকিয়েছিল? যাঁরা আবার কিনা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে৷ তবে কি কোনও ভাবে এই রেশন দুর্নীতি চক্রের মাথায় বসেছিল চন্দকরা? বালুর মদতে এই কারবারের শাখ প্রশাখা বিস্তার করেছিলেন তাঁরা? উত্তর খুঁজছেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =