কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের বিরোধিতা করে কমিশনে গেল সংযুক্ত মোর্চা। তাদের বক্তব্য, নির্বাচনের দিন বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসছেন, প্রচার করছেন এবং সেই প্রচার সংবাদ মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে যা পৌঁছে যাচ্ছে বাংলার কোনায় কোনায়। এদিকে তার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। গোটা ঘটনা আদর্শ আচরণবিধি লংঘন করছে বলে মনে করছেন তারা এবং সেই প্রেক্ষিতেই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বাম-কংগ্রেস।
এদিন তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এইভাবে প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার যেভাবে জনসমক্ষে প্রচারিত হচ্ছে তা আদতে আদর্শ নির্বাচন বিধি লংঘন করছে। এই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানার জন্যই আজ কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে এও জানানো হয়েছে যে, যেভাবে নির্বাচনের মধ্যে বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার একটা প্রক্রিয়া চলছে তা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাই তাদের আলাদাভাবে সুরক্ষার ব্যাপারে ভাবতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এদিকে আজ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ জানায় যে, প্রথম দফার নির্বাচনের যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সেই প্রেক্ষিতে অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষের মূল অভিযোগ কেন্দ্র বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে যে তারা বিজেপির হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে। বিজেপির হয়ে ভোট দিতে বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী তরফে।
আরও পড়ুন- দুর্বল এজেন্ট চাই না, নন্দীগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে খোঁচা মমতার, লড়াই করলেই পুরস্কারের আশ্বাস
যদিও তৃণমূল জানিয়েছে, কমিশনে একাধিক অভিযোগ জানিয়েও আপাতত কোনো ফল মেলেনি। তাই আজ একবার ফের নির্বাচন কমিশনে এসে এই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে এই দুই দফার নির্বাচনের ঠিক কোন কোন বুথে সবচেয়ে বেশি গন্ডগোল হয়েছে, তার তালিকাও নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে তাদের তরফে।