কর্ণাটকে কংগ্রেসের বড় জয় বদলে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী। অন্তত বিশ্লেষকদের মত এরকমই। যেভাবে কর্ণাটকের কংগ্রেসের জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী জোটের সমীকরণ বদলে ফেললেন তাতে বলাই যায়, কংগ্রেসের কর্ণাটক জয় উল্টে ফেলল বিরোধী জোটের সমীকরণও। যেখানে নীতীশ কুমারের One-On-One ছককে সমর্থন করেই জোটে প্রত্যেক বিজেপি বিরোধী শক্তিকে গুরুত্ব দিলেন মমতা। ঠিক কী বললেন মমতা নজর দেওয়া যাক-
মমতার জোট-বার্তা:
• অবিজেপি রাজ্যে বিজেপির জেতা কঠিন
• আঞ্চলিক শক্তি বিজেপি বিরুদ্ধে সর্বদা জিতে এসেছে
• কর্ণাটকের জয় আসলে গণাতান্ত্রিক জয়
• আঞ্চলিক খাতে যারা শক্তিশালী তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে
• বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল লড়বে
• দিল্লিতে আপ, বিহাকে নীতীশ-তেজস্বী-কংগ্রেস জোট বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ুক
• তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে
• এই লড়াইয়ে অবিজেপি প্রত্যেক দল একে অপরকে সমর্থন করবে
• যে দল শক্তিশালী সেই দলকে সমর্থন করবে অন্য বিরোধী দলগুলি
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা। তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন নীতীশ কুমারকে। এই গোটা পরিকল্পনাই নীতীশের One-On-one ফর্মুলা। যেখানে তিনি প্রত্যেক দলকে গুরুত্ব দিয়েই লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন। তাই মমতা বলেছেন, বিরোধী জোটের বৈঠক বিহারেই হওয়া উচিত। নীতীশ কুমই প্রথম বিজেপির বিরুদ্ধে বদল আনেন। তাই বিহারই হোক বিরোধী শক্তির কেন্দ্রস্থল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে সাফ বলেছিলেন, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে অকংগ্রেসি তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরি হবে। যেখানে অবিজেপি আঞ্চলিক শক্তি নিয়ে গড়ে উঠবে বিজেপি বিরোধী জোট। অখিলেশের সঙ্গেও কলকাতায় সেই মর্মেই বৈঠক করেন মমতা।
এরপর নীতীশ-তেজস্বী মমতার সঙ্গে বৈঠক করে কিছুটা তাঁকে কংগ্রেসনমুখী করার চেষ্টা করলেও ভারসাম্য বজায় রাখেন তৃণমূল নেত্রী। কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয় সব হিসেব ভুল প্রমাণ করে। যেখানে নীতীশের পরামর্শকে মমতা গুরুত্ব দিলেন। তিনি নীতীশের পথেই হেঁটে বিরোধী জোটের বার্তা দিলেন। যেখানে কংগ্রেসের ক্ষমতাকে মানলেন মমতা। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এতদিন যে তৃণমূলের অবস্থান সেই অবস্থানের বদল ঘটল। এবার কোন পথে কংগ্রেস , বলবে সময়।