কেরলে ভোট মিটলেই আমেথি-রায়বেরিলি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের?

কেরলে ভোট মিটলেই আমেথি-রায়বেরিলি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের?

congress

নিজস্ব প্রতিনিধি:    উত্তরপ্রদেশের আমেথি ও রায়বেরিলি কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী কারা হবেন তা নিয়ে জল্পনা থেমে থাকছে না। দলের তরফে বহুবার আবেদন করা হলেও আমেথিতে রাহুল গান্ধী এবং রায়বেরিলিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা দাঁড়াতে রাজি হচ্ছেন না বলে শোনা যাচ্ছে। বিজেপির দাবি পরাজয়ের সমূহ সম্ভাবনা আছে বলেই তাঁরা সেখানে যেতে চাইছেন না। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য কংগ্রেসের শীর্ষ কোনও নেতা যদি উত্তরপ্রদেশের কোনও আসনে না দাঁড়ান তাহলে বিজেপি ভোটের আগেই ওয়াকওভার পেয়ে যাবে। সেটা কিছুতেই হতে দিতে চাইছেন না অখিলেশ যাদব। তাই তিনি ক্রমাগত এ ব্যাপারে গান্ধী পরিবারের উপর চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বহুবার আবেদন করা সত্ত্বেও রাহুল-প্রিয়াঙ্কা উত্তরপ্রদেশের কোনও আসনে দাঁড়াবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও সূত্রের খবর কেরলে লোকসভা নির্বাচন পর্ব মিটে গেলেই আমেথি ও রায়বেরিলি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে কংগ্রেস।

প্রশ্ন হল এই সিদ্ধান্তের পেছনে কংগ্রেসের কী পরিকল্পনা কাজ করছে? আসলে কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাহুল। তাই এখনই যদি উত্তরপ্রদেশের আমেথি বা রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে তাহলে কেরলের মানুষের কাছে অন্য রকম বার্তা যেতে পারে বলে কংগ্রেস মনে করছে। সেক্ষেত্রে বিজেপি প্রচার করবে রাহুল দুই জায়গাতেই জিতলে ওয়েনাড় কেন্দ্র ছেড়ে চলে যাবেন। সেক্ষেত্রে ওয়েনাড় কেন্দ্রের ফলাফল এদিক ওদিক হয়ে যেতেও পারে। তাই সেখানে ভোট মিটলেই আমেথি বা রায়বেরিলি কেন্দ্রের একটিতে রাহুল দাঁড়াবেন কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কংগ্রেস হাইকমান্ডের একটি সূত্রে জানাচ্ছে।

রাহুল গান্ধী গত নির্বাচনে আমেথি কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন। তবে কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রে জিতে সাংসদ পদ ধরে রাখতে পারেন। এবারেও তিনি সেখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু তাতে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে বামেরা। কারণ বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটে অন্যতম শরিক হিসেবে রয়েছে বামেরা। ওয়েনাড় কেন্দ্রে রাহুলের বিপক্ষে প্রার্থী সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী অ্যানি রাজা। তাই কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সিপিআই। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি থেকেই বিজেপি যে সবচেয়ে বেশি আসন পাবে, এটা সকলেই জানেন। তাই বিরোধীদের উচিত ছিল সেখানে বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী দাঁড় করানো।‌ এমনটাই দাবি সিপিআইয়ের। কিন্তু সেই জায়গায় বহু আসনে কংগ্রেস দুর্বল প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছে।  কারণ একটাই, তথাকথিত হেভিওয়েটরা দাঁড়াতে চাননি। এমনিতেই সোনিয়া গান্ধী এবারের লোকসভা নির্বাচনে অসুস্থতার কারণে রায়বেরিলি কেন্দ্রে প্রার্থী না হয়ে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে গিয়েছেন। তাই রাহুল-প্রিয়াঙ্কা উত্তরপ্রদেশের কোনও আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলে প্রশ্ন তো উঠবেই। তাই সম্ভবত কেরলের নির্বাচন মিটে গেলেই এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে কংগ্রেস।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − 5 =