এরপরেও তৃণমূলের সঙ্গে জোটের আশা কংগ্রেসের! কোন পথে তা হতে পারে

এরপরেও তৃণমূলের সঙ্গে জোটের আশা কংগ্রেসের! কোন পথে তা হতে পারে

0176ef92413f9733a57e1ce2ec672c9c

নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল যে একাই লড়বে  সেই ঘোষণা একাধিকবার করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান মুখপাত্র তথা প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ ক্রমাগত দাবি করেছেন বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে তাঁরা জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কিন্তু রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে ৪২টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার পরেও জোটের আশা কীভাবে করছে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউ।

কংগ্রেস হাইকমান্ডের একাংশের বক্তব্য, জোটের স্বার্থে তৃণমূল একটা সময় একাধিক প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিল, এমনটাও তো হতে পারে। কিন্তু সেটা তো সোনার পাথরবাটির মতো। এখনও যদি এই ভাবনা ভাবতে থাকেন কংগ্রেস হাইকমান্ডার একাংশ, তাতে তো প্রদেশ কংগ্রেসের মনোবল বলে কিছু থাকবে না।

বহুদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থা কার্যত তলানিতে এসে থেকেছে। তা সত্ত্বেও যে সমস্ত কর্মী-সমর্থক এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে আছেন যারা তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে সাধ্যমতো লড়াই চালানোর চেষ্টা করছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কংগ্রেস ভালোই লড়াই দিয়েছে একাধিক জেলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। অভিযোগ শাসক দলের দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হতে হয়েছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোট যে সেই অংশ মেনে নেবেন না, তা বহুদিন আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ড অন্য কথাই ভাবতে থাকে। তাই তৃণমূলের উদ্দেশে জোট বার্তা দিতে থাকে তারা। কিন্তু তৃণমূল নিজেদের অনড় অবস্থান বজায় রাখে।

এই আবহের মধ্যে সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হবে পশ্চিমবঙ্গে, সেই সম্ভাবনা যথেষ্ট উজ্জ্বল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে সবুজ সংকেত হাইকমান্ড কেন দিতে চাইছে না, তা অবাক করছে রাজনৈতিক মহলকে। বিষয়টি নিয়ে তিতিবিরক্ত বামেরাও। তারা চাইছে দ্রুত বিষয়টি নিয়ে ফয়সালা হয়ে যাক। অথচ কংগ্রেস হাইকমান্ডের এখনও আশা তৃণমূল হয়ত আগামী দিনে দু একটি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতেও পারে। বলাবাহুল্য হাইকমান্ডের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তাই পরিস্থিতির চাপে এই জটিলতা কাটানোর ব্যাপারে হাইকমান্ড এখন কী উদ্যোগ নেয় সেটাই দেখার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *