congress
নয়াদিল্লি: ভোটের বাজারেও অরুণাচল। কেন এতো নরম প্রতিক্রিয়া ভারত সরকারের? কংগ্রেসের টার্গেটে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।
ফের উত্তপ্ত ভারত চিন সম্পর্ক। অরুণাচল প্রদেশকে ‘জাঙ্গান’ নাম দিয়েছে বেজিং। ওখানে আরও ৩০টি এলাকার নাম দিয়েছে চিনা সরকার। গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন। বলেছেন “আজ যদি আমি আপনার বাড়ির নাম বদলে দিই, তা হলে কি সেই বাড়িটা আমার হয়ে যাবে? ঠিক সে রকম ভাবেই অরুণাচল প্রদেশ আগেও ভারতের রাজ্য ছিল, এখনও রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও সেটাই থাকবে। নাম পরিবর্তন করে কিছু হবে না।”
কিন্তু এর পর আরও যে ভারতীয় অঞ্চলগুলোর নতুন নামকরণ করেছে চিন, সেই বিষয়ে কি বলেছেন জয়শঙ্কর? তাঁর জবাব, ভারতের সেনাবাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন রয়েছে। এর আগেও ভারত বারবার বলেছে, “চিন বরাবরই এই দাবি করে আসছে। যা শুরু থেকেই হাস্যকর ছিল, আজও সেটাই রয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, গোটা বিষয়টা সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনার অংশ।”
কিন্তু কংগ্রেস এখন এটাকেই ইস্যু করেছে। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির অভিযোগ, “বিদেশমন্ত্রী চিন নিয়ে যা বলেছেন তা অদ্ভুত। তিনি বলছেন, কারও ঘরের নাম বদলে দিলেই সেই ঘর নাকি বদলে যায় না! আমার বাড়ির সামনের নেমপ্লেট যদি বদলে দেওয়া হয়, তা হলে তো বিষয়টা ফৌজদারি মামলায় পরিণত হওয়ার কথা। আমরা বুঝতে পারছি না কেন এত দুর্বল প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্কর দিলেন।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “চিন অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গার নাম বদলে দিচ্ছে! তার পরিপ্রেক্ষিতে এতো নরম জবাব দেওয়া ভারতের পক্ষে লজ্জাজনক। অথচ শ্রীলঙ্কার কচ্ছথিবু নিয়ে তারা জোর গলায় কথা বলছে। দুঃখের বিষয়, চিনের নাম বিজেপি সরকারের মুখে দিয়ে বেরোতেই চায় না। ভারত সরকার আসলে ভয় পায়। চিনা সেনা আমাদের জমিতে ঢুকে এসেছে, আমাদের সেনারা তাদের টহলদারির অধিকার হারিয়েছেন। অথচ চার বছর হতে চলল নয়াদিল্লির কোনও সাড়াশব্দ নেই।”
যদিও, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভোটের আগে এই চাপানউতোর নির্বাচনের কৌশল মাত্র। আর কিছুই নয়। নাহলে শ্রীলঙ্কা হোক বা চিন, বিরোধী দলের তরফে বিদেশনীতি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের সময় এটা নয়। আবার কারো কারো মতে, চিনের প্রশ্নে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়ছে বই কমছে না।