নয়াদিল্লি: ঘড়ির কাঁটায় তখন ৮টা৷ শুরু হয় গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশে ভোটগণনা৷ এখনও গণনা শেষ হয়নি। তবে এনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস৷ তাই গণনা শেষ হওয়ার আগেই কংগ্রেস প্রার্থীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আটঘাট বাঁধছে হিমাচলের কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই একসঙ্গে শুরু হয়েছে দুই রাজ্যের বিধানসভার ভোট গণনা৷ গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশ৷ হিমাচলে ক্ষমতাসীন রয়েছে বিজেপি৷ সে রাজ্যে বিরোধী দল কংগ্রেস৷ দুই দলের মধ্যে চলছে কড়া টক্কর৷ বরং সে রাজ্যে বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। হিমচলে ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিতে পারছে না রাজনীতির কারবারিরা। ফলে কংগ্রেস নেতৃত্বের চিন্তা কিন্তু বাড়ছে৷ কারণ কংগ্রেস জিতলে কিংবা ত্রিশঙ্কু হলে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’ হবেই৷ সেই আশঙ্কাই ঘিরে ধরেছে হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
এদিকে ভোটের ফলাফলের গতিপ্রকৃতি দেখেই বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের দলে ফেরাতে হিমাচলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে। যা কংগ্রেসের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ঘুঁটি বাঁচাতে তড়িঘড়ি কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের রাজ্য থেকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কানাঘুষো, বিজেপি’র দল ভাঙানোর কৌশল রুখতে হিমাচলে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের রাজস্থানের জয়পুরের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে কংগ্রেসের অন্দরে। ইতিমধ্যে হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে রাজস্থান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে৷ জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে যাওয়া হতে পারে কংগ্রেস শাসিত আরেক রাজ্য ছত্তীসগঢ়ে৷ এমনটাই জানা যাচ্ছে কংগ্রেসের আর একটি সূত্রে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার মধ্যেই এই বিষয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অনুমান৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>