কলকাতা: এক মঞ্চে বাম-কংগ্রেস আর আইএসএফ, একপ্রকার ইতিহাসের সাক্ষী থাকল রবিবারের ব্রিগেড। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম-কংগ্রেস।পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গেও সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে চাইছে বাম নেতৃত্ব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ত্রিফলা জোট চূড়ান্ত হয়নি। আর তার পথে মূল কাঁটা যে কংগ্রেস বনাম আইএসএফ দ্বন্দ্ব, এদিন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে আরো একবার পরিষ্কার হয়ে গেল সেই ছবিই।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ভাষণের মাঝেই এদিন ব্রিগেড মঞ্চে ওঠেন আব্বাস সিদ্দিকী। কংগ্রেস নেতার পরেই ছিল তাঁর বক্তৃতার পালা। কিন্তু তিনি মঞ্চে ওঠার পর বাম নেতৃত্ব তাঁকে স্বাগত জানাতে গেলে জোট আবহের তাল কাটে। অধীর চৌধুরী ভাষণ না দিয়েই মঞ্চ ছাড়তে উদ্যত হন, ব্রিগেডে উপস্থিত জনতা দেখে দুই শিবিরের চাপানউতোর। পরে অবশ্য বিমান বসুসহ একাধিক বাম নেতা অধীর চৌধুরীকে বুঝিয়ে স্বস্থানে ফেরত পাঠান।
তবে কংগ্রেস আইএসএফ ঠান্ডা লড়াই শেষ হয় না এখানেই। এরপর আব্বাস সিদ্দিকী বক্তব্য রাখতে উঠলেও আরও একবার দ্বন্দ্বের আঁচ পাওয়া যায়।মাইক হাতে শুরুতেই বাম নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন সিদ্দিকী। কিন্তু উল্লেখমাত্র করেননা কংগ্রেসের। মানুষের স্বার্থে ৩০টি আসন আইএসএফকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান বিমান বসুকে। পরে নাম না করে কংগ্রেসের প্রতি তাঁর বার্তা, “যদি কেউ মনে করে সমঝোতা করবে, বন্ধুত্বের রাস্তা খোলা আছে। আগামী দিনে তাঁদের হয়েও গলা ফাটাবে এই আব্বাস।” কংগ্রেস আইএসএফ এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের মাঝে যেন পেন্ডুলামের মতো দোল খাচ্ছে বামেদের জোট ভবিষ্যৎ। এর পরিণতি কী? উত্তর দেবে সময়।