কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মসনদ থেকে তৃণমূলকে সরাতে এবং বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির দৌরাত্ম্য কমাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের সঙ্গে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে একজোটে লড়বে বাম-কংগ্রেস। ভোটের আগে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে।
জানা গেছে, এবার মহিলা ভোটারদের উপর গুরুত্ব আরোপ করতে মরিয়া কংগ্রেস। শুধুমাত্র বাংলাতেই নয়, তামিলনাড়ু, আসাম,পদুচেরি এবং কেরালার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকেও মাথায় রেখে নতুন ভোট কৌশল নির্মাণ করা হয়েছে। মহিলা ভোটারদের ভোটকে হাতিয়ার করেই আগামী নির্বাচনে ভালো ফলের বিষয়ে আশাবাদী কংগ্রেস। ফলে এ ব্যাপারে একাধিক কর্মসূচীও গ্রহণ করেছে তারা।
বিশেষ সূত্রের খবরে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনগুলিতে প্রতিটি পোলিং বুথে পাঁচজন করে মহিলা কর্মী রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। মহিলা কর্মীদের দেখে মহিলা ভোটাররা উৎসাহিত হবেন, এমনটাই আশা প্রকাশ করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে জানিয়েছেন, “পাঁচজন করে বুথ স্তরে কর্মী নিয়োগ করা হবে। যাঁদের দায়িত্ব থাকবে মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে দলের বড় পদক্ষেপ নীচুস্তরে পৌঁছে দেওয়া।” সমস্ত রাজ্য সভাপতিদের কাছ থেকে এই মর্মে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন মহিলা কংগ্রেসের ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ বৈঠকে মহিলা ভোটার বাড়ানোর বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে দলীয় সূত্রের খবরে। আগামী শুক্রবারের মধ্যেই এই বৈঠকের রিপোর্ট সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংগ্রেসী রাজনীতিতে মহিলাদের উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অতিমারী পরিস্থিতিতে মহিলাদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিয়েছে কংগ্রেস। এছাড়া গার্হস্থ্য হিংসা মামলাতেও মহিলাদের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সাহায্যের হাত। সেই আবহেই এবার মহিলা ভোটারদের উপর জোর দেওয়ার বিষয়টিও সামনে এল।