কলকাতা: আরে কিছু মাস পরে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের জন্য বহু আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। বাংলা তাদের অন্যতম প্রধান টার্গেট, মধ্যপ্রদেশ, বিহারের পর বাংলা দখল করায় মূল লক্ষ্য ভারতীয় জনতা পার্টির। এখন বঙ্গ রাজনীতির যে চিত্র, তাতে প্রত্যেকেই তৃণমূলের মূল বিরোধী হিসাবে বিজেপিকেই সামনে রাখে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, লোকসভা নির্বাচনের মতোই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই হবে তৃণমূল এবং বিজেপির। কিন্তু এমনটা মনে করছে না বঙ্গ সিপিএম। তাদের মতে, বাংলায় তৃণমূল সরকারের একমাত্র বিকল্প বাম-কংগ্রেস জোট সরকার। এর কারণ ব্যাখ্যা করেছে দল।
বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর মতে, বিজেপি শিবিরের ভোট শেয়ার নিম্নমুখী হচ্ছে দিন দিন। লোকসভা নির্বাচনের পরে অন্যান্য রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির ভোট শেয়ার কমেছে। অন্যদিকে, মানুষ এখন সমস্যার সমাধান চাইছেন, যা বিজেপি তাদের দিতে পারবে না বলেই বুঝে গিয়েছেন তারা। তাই বিজেপি মানুষের সমর্থন হারাচ্ছে। বাংলায় এই কারণেই যৌন মূল সরকারের বিকল্প হতে পারে একমাত্র বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোট সরকার, এমনই দাবি তাঁর। সুজন আরো বলেন, বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাম-কং জোট। যে সকল মানুষ তৃণমূল এবং বিজেপির দ্বারা শোষিত, তাদের উচিত এই জোটকে সমর্থন করা। তবে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গঠন করা যাবে বলে দাবি করেছেন সুজন।
এদিকে বিজেপির ব্যর্থতার প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি তথা এনডিএ’র ভোট শতাংশ কমে গিয়েছে বহু রাজ্যে। মহারাষ্ট্রে ২০১৯ নির্বাচনের পরে বিজেপি কমপক্ষে ২২ শতাংশ কম ভোট পেয়েছে বলে জানান তিনি। একই চিত্র ঝাড়খণ্ডের। এদিকে বিহার নির্বাচনে ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ ভোট কমেছে বিজেপির বলে দাবি করেন সুজন চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে তিনি বোঝাতে চান, গোটা দেশজুড়ে বিজেপির জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমছে। এক্ষেত্রে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ২০১৯ সালে বিহারে ২২৩ বিধানসভা এলাকায় জিতেছিল বিজেপি, ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে তারা জিতেছে মাত্র ১২৫ টি আসন। অন্যদিকে, আরজেডি-কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট জোট ২০১৯ সালে মাত্র ১৫ টি আসন পেয়েছিল, সে জায়গায় এবার তারা পেয়েছে ১১০ টি আসন।