ভোটের মুখে কমিশনের ‘জুলুমে’ নাজেহাল ভোট কর্মীরা! সামিল বিক্ষোভে

শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও ভোট ডিউটিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে কমিশনের বিরুদ্ধে

 

কলকাতা: নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বেজে গেছে ভোটের দামামা। চলতি মাস থেকেই এ রাজ্যে শুরু হচ্ছে আট দফার নির্বাচনী লড়াই। নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে রাজ্যের ভোট প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এমতাবস্থায় ভোট কর্মীদের তরফ থেকে কমিশনের বিরুদ্ধে উঠল একাধিক গুরুতর অভিযোগ।

ভোট কর্মীদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেছে নির্বাচন কমিশন, এদিন এমনটাই দাবি করেছে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী ও চন্দন গরাইয়ের  নেতৃত্বে কমিশনের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়েছে। এদিন কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান ভোট কর্মীরা।

ঠিক কী কী অভিযোগ উঠেছে কমিশনের বিরুদ্ধে? জানা গেছে, দৃষ্টিহীন, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও গুরুতর অসুস্থসহ একাধিক ব্যক্তির ঘাড়ে এবার ভোটের দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে কমিশন। শিক্ষক সমিতির অভিযোগ, বারংবার আবেদন জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়ে শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে ভোট কর্মীদের। এখানেই শেষ নয়, এবারের আট দফা ভোটে বুথের সংখ্যা অন্যান্য বারের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০% , কিন্তু ভোট কর্মীদের কাজ তাতে লাঘব হয়নি কিছুমাত্র। উল্টে রোনা ভাইরাসের অজুহাতে ভোটের সময় সীমা সন্ধ্যা ৬:৩০ টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষা মহল।

নানাবিধ অভিযোগ নিয়ে এদিন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি অ্যাডিশনাল সিইও বিজিত কুমার ধরের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। এ প্রসঙ্গে কিংকর অধিকারী বলেছেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরের চকমকরামপুর  হাইস্কুলের এক শিক্ষিকাকে গর্ভবতীকালীন ছুটি থাকা সত্ত্বেও ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। তিনি ট্রেনিংয়ে নাম কাটানোর জন্য আবেদন করলে জেলার পিপি সেলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। উপরন্তু, ট্রেনিংয়ে না যাওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিশন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” বিস্তারিত দাবিদাওয়া এদিন কমিশনের দফতরে তুলে ধরেছেন শিক্ষা মহলের ব্যক্তিত্বরা। কমিশনের তরফ থেকে সমস্যার সমাধানের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + four =