কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করেছিলেন সবে৷ কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে সভাও করেন তিনি৷ কিন্তু এরই মাঝে ঘটে বিপত্তি৷ বাগডোগরা যাওয়ার পথে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার৷ সেবক এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করেন চালক৷ সেই সময়ই বাঁ পা ও কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই চোট সারাতেই এবার অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা৷
উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফেরার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক ও রেডিয়োলজির প্রধান চিকিৎসক অর্চনা সিংহের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। এমআরআই করার পর চিকিৎসকরা জানাতে পারেন তাঁর বাঁ হাঁটুর লিগামেন্ট ও হিপজয়েন্টের লিগামেন্টে চোট রয়েছে। বাঁ হাঁটুতে জল জমার চিহ্নও ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা তখনই মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি রাজি হননি৷ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই মতো চিকিৎসকরা তাঁকে হাঁটাচলা নিয়ন্ত্রণে রেখে বিশ্রামের পরামর্শ দেন৷ বাড়িতেই শুরু হয় ফিজিওথেরাপি৷ প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে থেরাপি চলছে। এসএসকেএম থেকে ফিজিওথেরাপিস্ট তাঁর বাড়িতে গিয়ে সেই থেরাপি দিচ্ছেন। চিকিৎসকেরাও তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
এখন জানা যাচ্ছে, ফিজিওথেরাপির পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল৷ তাই এখন হাঁটুতে জল জমা ও লিগামেন্টের চোটের সমস্যা দূর করতে অস্ত্রোপচার (প্রসিডিওর) করার পরিকল্পনা করছেন চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও তাতে সম্মতি জানিয়েছেন৷ খুব শীঘ্রই অস্ত্রোপচার করা হবে৷ উডবার্ন ব্লকের ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি রাখা হবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ অস্ত্রোপচারের পর দুই-তিন দিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীকে। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে, নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷