কলকাতা: নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে ঘটনার পর অভিযোগ করা হয়েছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের দলনেত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে নন্দীগ্রামে। কিন্তু মূল ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বয়ান বদলে ফেলার অভিযোগ তুলল বিজেপি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ আক্রমণ করেনি, ছিল না কোনো চক্রান্ত, নিছক দুর্ঘটনাতেই পায়ে চোট পেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী, এদিন এমনটাই দাবি উঠল গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এদিন বলেন, আঘাত পাওয়ার দিন যে চক্রান্তের অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, পরের দিনের ভিডিও বার্তায় আর সেই প্রসঙ্গের ধারে কাছ দিয়েও যাননি তিনি। এর থেকেই বোঝা যায়, চাপে পড়ে বয়ান বদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বস্তুত, মূল ঘটনার পরের দিন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে খানিক স্থিতিশীল অবস্থায় রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি গত দিনের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘‘বনেটের উপর দাঁড়িয়ে আমি নমস্কার করছিলাম। পিছন থেকে তখন এমন জোরে চাপ আসে যাতে পুরো গাড়িটা পায়ের মধ্যে চেপে যায়।’’ উল্লেখ্য, ঘটনার দিন কিন্তু তিনি বলেছিলেন চার পাঁচ জন মিলে চক্রান্ত করে তাঁকে ধাক্কা মেরেছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বয়ানের এই তারতম্য নিয়েই শাসকদলকে খোঁচা দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘ঘটনার ঘটার দিন এবং পরের দিনের মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে৷ ভিডিও বার্তায় তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের আচরণের সমালোচনাও করেছেন শমীক ভট্টাচার্য৷
মুখ্যমন্ত্রীর আঘাতের পর প্রথম থেকেই তৃণমূল শিবিরের তরফ থেকে হামলার তত্ত্বের উপর জোর দেওয়া হচ্ছিল৷ অন্যদিকে ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি করে আসছিল বিজেপি৷ ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীরা দুর্ঘটনার তত্ত্বকেই সমর্থন করেছেন৷