রুদ্রনীল: তৃণমূল ও বিজেপি’র সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চেতলা৷ বৃহস্পতিবার চেতলায় বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের একটি প্রচারের ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় যুযুধান দুই শিবিরের হাতাহাতি৷ রাতভর দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ হয়৷ ইঁট বৃষ্টি৷ একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়৷ আহত হন রুদ্রনীল সহ ১৫ জন বিজেপি কর্মী৷ অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গন্ডোগেলের পিছনে রয়েছে বিজেপি’র হাত৷
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য! মমতাকে দ্বিতীয় নোটিশ কমিশনের
ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ৷ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আঙুল তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমোর দিকে৷ ফলে তাঁর উপর তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভের কথা অস্বীকার করা যায় না৷ কিন্তু চতুর্থ দফা ভোটের আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষের উত্তাপে রীতিমতো পুড়ল চেতলা৷ প্রসঙ্গত, এই ঘটনাটি ঘটেছে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির অদূরেই৷ তাঁর অনুগামীরাই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রুদ্রনীলের৷ চেতলা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে দুই পক্ষই৷ প্রতিবাদে দুই পক্ষই চেতলা মোড় অবরোধ করে৷
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের প্রচারের ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদের চলে বিক্ষোভ৷ রুদ্রনীল জানান, প্রচার সেরে ফেরার পথে তাঁদের উপর বন্দুক, লাঠি হাতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রীত গুন্ডারা। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়৷ প্রায় ২৫০ জন এই হামলা চালিয়েছে বলে তাঁর দাবি৷
আরও পড়ুন- সংক্রমণ রুখতে সরকারি অফিসে ফের ৫০ % হাজিরা, নির্দেশিকা জারি নবান্নে
রুদ্রনীলের প্রশ্ন, শুধুমাত্র বিজেপি করে বলেই ওঁদের উপর এই হামলা হল? যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, নির্বাচনী প্রচার সেরে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একটি দল চেতলার দিকে ফিরছিল সেই সময়ই দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়৷ হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়৷ তৃণমূল কর্মীদের কাছে বোমা ছিল বলেও অভিযোগ করেন রুদ্রনীল৷