বিরোধী বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’ ঘিরে রণক্ষেত্র ঢাকা, গ্রেফতার একাধিক নেতা

বিরোধী বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’ ঘিরে রণক্ষেত্র ঢাকা, গ্রেফতার একাধিক নেতা

ঢাকা:  বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র সমর্থক ও পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রাজধানী ঢাকা৷ শনিবার সকালে বিএনপি এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলির ‘মহাসমাবেশ’-কে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত৷ পল্টন-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দলের মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আমলগির ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস-সহ শ’পাঁচেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির সদর দফতরের সামনে জমায়েতের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলেও অভিযোগও উঠেছে। 

আরও পড়ুন- সমকামিতা সমর্থনকারী, বিশ্বকাপ কভারে যাওয়া মার্কিন সাংবাদিকের রহস্যজনক মৃত্যু

বছর ঘুরলেই বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন৷ সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। দীর্ঘদিন বাদে শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয় বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে ভিড় জমাতে শুরু করেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দলের কর্মী-সমর্থকরা। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষও হয় তাদের। শনিবার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে৷ 

এমনকী বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে প্রাণ হারান এক বিএনপি কর্মী৷ পুলিশ-প্রশাসনের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই রাজধানীর পথে অশান্তি সৃষ্টি করেছে বিরোধী দল৷ অন্য দিকে, বিএনপি শিবিরের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত করছিল৷ কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই তাঁদের উপর লাঠি চালায় পুলিশ৷ ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল৷ চলে রবার বুলেট৷ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই পুলিশ সমাবেশের অনুমতি দিতে দেরি করে বলেও  অভিযোগ তুলেছে বিরোধী। অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ ঢাকার গোলাপবাগে শুরু হয়েছে মহাসমাবেশ। 

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়াও জ্বালানি তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিচালনায় সংসদীয় নির্বাচনের দাবিতে ‘মহাসমাবেশে’র ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ ওই সমাবেশে হাজির হন, জয়নুল আবেদিন ফারুক, মিজানুর রহমান মিনু, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়-সহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।