বিজেপিতে মন টিকছে না বাবুলের! তৃণমূলে আসার পরামর্শ জিতেন্দ্রর

সম্মুখসমরে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

আসানসোল: শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে বাংলা রাজনীতিতে এজন্য দলবদলের জল্পনা যেন আরো বেড়ে গেছে। শুভেন্দু ছাড়াও সৌগত রায়, অনুব্রত মণ্ডল সহ একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী, সাংসদকে নিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, তারা নাকি সবাই বিজেপিতে আসতে চায়। অন্যদিকে, পাল্টা তৃণমূলে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অন্য নেতাদের। এবার এই প্রেক্ষিতে সম্মুখসমরে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। জিতেন্দ্র দাবি করেছেন, বিজেপিতে নাকি বাবুল সুপ্রিয়র আর ভালো লাগছে না, তিনি চাইলে তৃণমূলে আসতে পারেন! অবশ্য এর পাল্টা দিয়েছেন বাবুল।

আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির কথায়, বিজেপিতে এখন আর মন টিকছে না বাবুলের, কারণ সেখানে বাঙালিদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে না, বাঙালি কালচার নেই। এই কারণেই বিজেপি করতে তাঁর আর ভালো লাগছে না। এই প্রেক্ষিতে বাবুল সুপ্রিয়কে তৃণমূলে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন জিতেন্দ্র! যদিও এর পাল্টা উত্তর দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় স্বয়ং। বাংলার জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, কয়লা মাফিয়া দের ডেরায় হানা দেওয়া হয়েছে বলে অনেকে ভয় পেয়ে গেছে। এখন তাঁর নাম ব্যবহার করে জনপ্রিয়তা চাইছে। এই প্রসঙ্গে পরোক্ষে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নির্বোধ বলেও কটাক্ষ করেন বাবুল। দুজনের মন্তব্যের ঝাঁজে বোঝাই যাচ্ছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার রাজনৈতিক মহল কোন দিকে এগোচ্ছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়।

আসলে, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর এবং মিহির ঘোষ গোস্বামীর মতো নেতারা তৃণমূলের থেকে দূরত্ব স্থাপন করার পর শাসকদলের অস্বস্তি যেন চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। এইভাবে যদি একে একে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা দল ছাড়তে থাকে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখন মৌখিক যুদ্ধে নিজেদের মাটি শক্ত করার প্রক্রিয়া দেখাচ্ছে তারা। যদিও তৃণমূলের কোনো দাবির পাল্টা দাবি করতে ছাড়ছে না বিজেপি। উল্লেখ্য, এই সময় আবার হাওড়ার বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ এনেছেন দলেরই এক নেতা, অন্যদিকে বালিতে একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে আসন্ন বিধানসভায় কোনো বহিরাগতকে যেন প্রার্থী করা হয় তার জন্য। সব মিলিয়ে দিন দিন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়তেই থাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *