কয়লা কাণ্ডে তৎপর CID! আসানসোলে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই স্থানীয় বাসিন্দা

আসানসোল: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য জুড়ে কয়লা ও গোরু পাচারে অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রশাসন। সিবিআইয়ের পাশাপাশি কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল চক্রীদের নাগাল পেতে মরিয়া সিআইডিও। সেই সূত্রেই এদিন কয়লা পাচার নিয়ে একপ্রকার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালালো রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (CID)।

বর্ধমান জেলার আসানসোল পশ্চিমবঙ্গের কয়লার আকর হিসেবেই পরিচিত। আর এই কয়লা খনির শহরটাতেই কালো হীরে পাচারের জালও সুবিস্তৃত। এদিন কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে আসানসোলের অন্তত ১০ জন ব্যক্তিকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির আধিকারিকরা। জানা গেছে, উক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই স্থানীয় বাসিন্দা। এলাকার কয়লা পাচার চক্র সম্পর্কে রীতিমতো ওয়াকিবহাল ছিলেন তাঁরা। ফলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বড়সড় তথ্য আদায় করে চক্রের কেন্দ্রে পৌঁছোতে চাইছেন গোয়েন্দারা।

সিআইডি সূত্রের খবর, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ছাড়াও বারবনি, পাণ্ডবেশ্বর আন্দাল প্রভৃতি এলাকায় কয়লা পাচার চক্র নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। কে বা কারা কয়লা তোলার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন? মেশিন এনে খনির কয়লা তুলে কোথায় পাঠানো হত? কাদের কাছেই বা কয়লা হাতবদল হয়ে যেত? মূলত এই সমস্ত প্রশ্নই স্থানীয়দের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই খনির কয়লা তোলা থেকে শুরু করে হাতবদল এবং পাচার পর্যন্ত সমস্ত খবরাখবর রাখতেন। ফলে কয়লা কাণ্ডে তদন্ত বড়সড় সাফল্যের দিকে এগোচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কয়লা পাচার চক্রের সঙ্গে ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে একাধিক রাজনৈতিক নেতা কর্মী এবং পুলিশ কর্মীর। একাধিক ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা ফেরার। তাঁদের জন্য জারি করা হয়েছে লুকআউট নোটিশও। বিধানসভা নির্বাচনের আবহে কয়লা কাণ্ড নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 1 =