লাদাখ: লাদাখ সীমান্তের সংঘর্ষ নিয়ে এখনো উত্তেজনা ছড়িয়ে রয়েছে ভারত এবং চীনে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে উত্তেজনা একফোঁটা কমেনি। বরং, একাধিকবার আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও কোনরকম সমাধান সূত্র বের করা সম্ভব হয়নি দুই দেশের পক্ষে। এবার চাঞ্চল্য আরো বাড়ল, কারণ লাদাখের চুমার-ডেমচোক এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী একজন চিনা জওয়ানকে আটক করেছে। গোপনে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল সে! তবে সূত্রের খবর, তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে খুব শীঘ্রই।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই চীনা সেনার নাম ওয়াং ইয়া লং। LAC অতিক্রম করে তিনি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করে ভারতীয় সেনা। পরবর্তী সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, প্রোটোকল মেনেই ওই চিনা সৈনিককে তার নিজের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ওই চীনা সেনাকে ওষুধ, খাবার এবং অক্সিজেন দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। লাদাখ সীমান্তের যে জায়গা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে সেই জায়গার আবহাওয়া খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এদিকে চীনা সেনাবাহিনী তরফ থেকেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে তাদের সেনা জওয়ানকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। বলা হয়েছে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর তথ্য জানানো হয়েছে, সমস্ত প্রটোকল এবং নিয়ম মেনে চুসহুল-মন্ডো পয়েন্ট থেকে ওই সেনাকে ফিরিয়ে দেবে ভারত। সেনা সূত্রের খবর, যে চীনা সেনাকে পাকড়াও করা হয়েছিল, তার কাছ থেকে কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীন সেনা সংঘর্ষ হয়। তাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। সেই সংঘর্ষের পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রচণ্ড উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। চীনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার আওয়াজ উঠতে শুরু করে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এও জানা যায়, চীনের কমপক্ষে ৪০ জন সেনা শহীদ হয়েছে সেই সংঘর্ষে। তবে পদক্ষেপ নিতে বেশি সময় নেয়নি ভারত। সংঘর্ষের কিছুদিনের মধ্যেই একাধিক চিনা অ্যাপস নিষিদ্ধ করা হয় ভারত থেকে। যার ফলে চীনের অর্থনৈতিক সংকট বেড়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
পরবর্তী ক্ষেত্রে বহুবার এবং ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বৈঠক করেছে। যদিও কোনো রকম সমাধান সূত্র এখনো পর্যন্ত বের হয়নি। কিছুদিন আগে রাশিয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। সেই বৈঠকও কোনো আশানুরূপ ফল দিতে পারেনি।