বেজিং: করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল হিসেবে ২০১৯-এর শেষ থেকেই আন্তর্জাতিক চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে চিন। বিশ্বব্যাপী এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোয় এবং লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ যাওয়ায় জি জিনপিংয়ের দেশকে যে বিশেষ ভালো চোখে দেখেনি দুনিয়া, তা বলাই বাহুল্য। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অন্যান্য শক্তিশালী দেশগুলিকে টক্কর দেওয়ার চিনা উদ্যোগ এই সমালোচনার আবহে দমে যায়নি, বরং তা আরো বেড়েছে। সম্প্রতি নাসাকে টেক্কা দিয়ে মঙ্গল গ্রহে পারি দিয়েছে বেজিং।
সূত্রের খবর, চিনের মঙ্গলযান তিয়ানমেন ১ প্রায় মঙ্গল গ্রহে পৌঁছে গিয়েছে। আর মাত্র দু-এক দিনের মধ্যেই তা মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। অর্থাৎ তিয়ানমেন ১ এখন পৃথিবীর এই প্রতিবেশী গ্রহকে বেশ ভালো ভাবেই পর্যবেক্ষণ করতে পারছে। এদিন তিয়ানমেন ১ থেকে পাঠানো মঙ্গলের প্রথম ছবিটি প্রকাশ করেছে চাইনিজ ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (CNSA)। জানা গেছে, ছবিটি তোলা হয়েছে গত ৫ ফেব্রুয়ারি। শনিবার এই ছবি প্রকাশ্যে আনে সিএনএসএ। তাঁরা জানিয়েছে, ছবিতে মঙ্গলের যে অংশ দেখা যাচ্ছে তা তিয়ানমেন ১-এর মূল গন্তব্য থেকে মোটামুটি ২.২ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
গত বছর করোনা আবহেই চিনের তাইওয়েন ১ তৈরি করা হয়েছিল। ন্যাশানাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা ২০২০-র ৩০ জুলাই মঙ্গল অভিযানের পরিকল্পনা প্রকাশ করে। এর ঠিক এক সপ্তাহ আগেই চিন তার পরিকল্পনাটি প্রকাশ্যে এনেছিল। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তিয়ানমেন ১ মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর গ্রহের চারপাশে বেশ কয়েক মাস ধরে ঘুরবে তিয়ানমেন ১। তিয়ানমেন ১ তার লক্ষ্যে পৌঁছোতে সফল হলে এটাই হবে লাল গ্রহে চিনের প্রথম সফল অভিযান। এর আগে ২০১১ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে মঙ্গল অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছিল বেজিং। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছিল।
এদিকে নাসার তরফ থেকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। লাল গ্রহে ব্যাপক গবেষণা চালানোর জন্য উৎসাহী নাসাও। মঙ্গলের বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের জন্য পাথরের নমুনা সংগ্রহ, সব কাজই করবে নাসার অভিযান।