বেজিং: চিনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি করোনা ভাইরাসের। এই ভাইরাসের জেরে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই দেশে। গত মাস পর্যন্তও নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল করোনা সংক্রমণ। আচমকাই যেন নাটকীয় পরিবর্তন। করোনার প্রভাবে গোটা বিশ্বের কপালে যখন চিন্তার ভাঁজ, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াল তারা। উহান বা হুবেই শহরে এই মুহূর্তে করোনা রোগে মৃত্যুর খবর নেই বলেই সংবাদসূত্রে জানা গেছে। এমনকী, নতুন কোনও সংক্রমণের খবর নেই সেখানে। এই পরিসংখ্যান অনুসারে, করোনা-মুক্ত চীন ঘোষণা এখন অপেক্ষামাত্র, মনে করছে বিশিষ্টমহল।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তরফে সিনিয়র ইনস্পেক্টর জিয়াও ইয়াহুই জানিয়েছেন, 'অনেক চেষ্টার পর অবশেষে আজ আমরা সুদিন দেখলাম।' বিশ্বের অন্যান্য দেশে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে আক্রান্ত অন্তত দু'লক্ষ ১৮ হাজার জন। প্রায় আট হাজার ৮০০ জনের মৃত্যুও হয়েছে এর মধ্যে। আক্রান্ত দেশগুলির সর্বক্ষেত্রেই বেহাল দশা। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চীনেই। প্রায় ৩ হাজার ২০০ জনের। অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এল স্বাভাবিক অবস্থায়।
করোনায় মৃত্যুর বিষয়ে যে রিপোর্ট জিয়াও দিয়েছেন, তার নিরিখে এই ভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া সেই দেশের সমস্ত পদক্ষেপই ফলপ্রসূ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। জানুয়ারি মাস থেকেই উহান শহরে জারি ছিল বিশেষ নিষেধাজ্ঞা। একপ্রকার বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল শহরটিকে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া সেই শহরে যাতায়াতও বন্ধ রাখা হয়েছিল। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তরফে লি লানজুয়ান ঘোষণা করেছিলেন, করোনা সংক্রমণের খবর পরপর দু'সপ্তাহ না পেলে তবেই তোলা হবে নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার চীনা আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন কোনও করোনা সংক্রমণের খবর নেই তাদের কাছে।