চিনে আরও বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ভাইরাস কবলে বহু পড়ুয়া

করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ নিয়ে একদিকে যখন সারা বিশ্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নজির গড়েছে চীন। ইতিমধ্যেই সেই দেশের তরফে জানানো হয়েছিল, নতুন কোনও আক্রান্তের খবর নেই। সেই ধারা তিনদিনের মাথায়ও ধরে রেখেছে চীন। কিন্তু এরই মাঝে অশনি সংকেত। 'মহামারি'র আকার নেওয়া করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনলেও বিদেশ থেকে দেশে ফেরা পড়ুয়াদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই সংখ্যাও ৪০-এর বেশি।

বেজিং: করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ নিয়ে একদিকে যখন সারা বিশ্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নজির গড়েছে চীন। ইতিমধ্যেই সেই দেশের তরফে জানানো হয়েছিল, নতুন কোনও আক্রান্তের খবর নেই। সেই ধারা তিনদিনের মাথায়ও ধরে রেখেছে চীন। কিন্তু এরই মাঝে অশনি সংকেত। 'মহামারি'র আকার নেওয়া করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনলেও বিদেশ থেকে দেশে ফেরা পড়ুয়াদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই সংখ্যাও ৪০-এর বেশি।

ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তরফে সিনিয়র ইনস্পেক্টর জিয়াও ইয়াহুই বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, 'অনেক চেষ্টার পর অবশেষে আজ আমরা সুদিন দেখলাম।' বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে ইতালির পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক। এরই মধ্যে শনিবার চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে নতুন ৪১ করোনা আক্রান্তের ঘটনা। তবে তাদের দাবি, সবগুলো ঘটনাই বিদেশ থেকে আমদানি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ থেকে দেশে ফেরা চীনা পড়ুয়ারাই রয়েছেন এই তালিকায়। সেই দেশের পক্ষে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত বিদেশ থেকে আমদানি করা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০-এরও বেশি। বিদেশ থেকে ফেরার ক্ষেত্রে বেজিং ও সাংহাই হল প্রধান প্রবেশদ্বার। বিদেশে পড়ার পাট চুকিয়ে সেখান থেকেই ঢুকেছেন পড়ুয়ারা। স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে চীনে।

এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে আক্রান্ত অন্তত দু'লক্ষেরও বেশি। অন্তত ৯ হাজার জনের মৃত্যুও হয়েছে এর মধ্যে। আক্রান্ত দেশগুলির সর্বক্ষেত্রেই বেহাল দশা। এখনও পর্যন্ত চীনে করোনা আক্রান্তে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ২০০ জনের। সেই অবস্থা কাটিয়েও অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এসেছিল স্বাভাবিক অবস্থায়। করোনায় মৃত্যুর বিষয়ে যে রিপোর্ট জিয়াও দিয়েছেন, তার নিরিখে এই ভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া সেই দেশের সমস্ত পদক্ষেপই ফলপ্রসূ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। জানুয়ারি মাস থেকেই উহান শহরে জারি ছিল বিশেষ নিষেধাজ্ঞা। একপ্রকার বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল শহরটিকে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া সেই শহরে যাতায়াতও বন্ধ রাখা হয়েছিল। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তরফে লি লানজুয়ান ঘোষণা করেছিলেন, করোনা সংক্রমণের খবর পরপর দু'সপ্তাহ না পেলে তবেই তোলা হবে নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার চীনা আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, দেশ থেকে উদ্ভূত নতুন কোনও করোনা সংক্রমণের খবর নেই তাদের কাছে। তবে বিদেশ থেকে আমদানি করা করোনা সংক্রমণ নতুন করে সেই দেশকে ভাবাচ্ছে বলেই মনে করছে বিশিষ্টমহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 19 =