ভারতীয় স্যটেলাইটেও হামলা করতে চেয়েছিল চিন, মার্কিন রিপোর্টে চাঞ্চল্য

China also wanted to attack Indian satellites says US reportভারতকে সমস্যার মুখে ফেলতে সব সময়েই পা বাড়িয়ে আছে জি জিনপিংয়ের দেশ চিন। আগেই দেখা গিয়েছে জল ও স্থল দুই জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে একাধিক সংঘাত বেধেছে। এবার মার্কিন সংস্থা সিএএসআই'য়ের রিপোর্টে আকাশ পথেও ভারতকে নিশানা করার চেষ্টা করছে চিন, এমন খবর সামনে এল। ওই সংস্থা তথ্য দিয়েছে, ২০১৭ সালে ভারতীয় স্যাটেলাইটে সাইবার হানা চালিয়ে ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছিল চিন।

 

নয়াদিল্লি: ভারতকে সমস্যার মুখে ফেলতে সব সময়েই পা বাড়িয়ে আছে জি জিনপিংয়ের দেশ চিন। আগেই দেখা গিয়েছে জল ও স্থল দুই জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে একাধিক সংঘাত বেধেছে। এবার মার্কিন সংস্থা সিএএসআই’য়ের রিপোর্টে আকাশ পথেও ভারতকে নিশানা করার চেষ্টা করছে চিন, এমন খবর সামনে এসেছে৷ ওই সংস্থা তথ্য বলছে,  ২০১৭ সালে ভারতীয় স্যাটেলাইটে সাইবার হানা চালিয়ে ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছিল চিন। কিন্তু সেই চেষ্টায় এখনও সফল হতে পারেনি চিন৷

মার্কিন এই তথ্যের প্রসঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবান সরাসরি এই ধরনের কোনও হামলার কথা নিয়ে কিছু বলতে চাননি। কিন্তু তাঁর মতে, সাইবার হানার বিপদ সবসময় থাকে, ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু যেহেতু ভারতের সম্পূর্ণ স্বনিয়ন্ত্রিত নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং তা কোনও পাবলিক ডোমেনের সঙ্গে যুক্ত নয়৷ এমনকি ইন্টারনেটের সঙ্গেও নয়, তাই ভারতের এই সিস্টেম সম্পূর্ণ সুরক্ষিত বলে জানান কে শিবান।

মার্কিন সংস্থা চিনা অ্যারোস্পেস স্টাডিস ইনস্টিটিউট বা সিএএসআই সম্প্রতি ১৪২ পাতার একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে। যেখানে গত ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চিনা সাইবার হানার নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ওই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, এই সময়সীমার মধ্যে শুধু ভারত নয়, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’তেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে চিন। সেক্ষেত্রে একবার সফলও হয়েছিল চিনা হ্যাকাররা।

মার্কিন সংস্থা সিএএসআই জানিয়েছে, ২০১২ সালে জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি বা জেপিএলে চিন হ্যাকাররা সাইবার হানা চালিয়ে গোটা নেটওয়ার্কের উপর কব্জা করে ফেলেছিল। অন্যদিকে স্বস্তির খবর একটাই, এতদিন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার স্ট্র্যাটেজিক স্পেস ট্র্যাকিং স্টেশন ব্যবহার করত চিন। কিন্তু সম্প্রতি মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে চিনের চুক্তি শেষ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা জানিয়েছে চুক্তি শেষ হলে পুনরায় চিনকে এই সুবিধা প্রদান করবে না তারা। ফলে চিন যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় বড় ধাক্কা খেতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =