রায়পুর: চলছে ভারত ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। ভারতীয় ক্রিকেটে এই প্রথম গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট হিসেবে আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে ইতিহাস। কিন্তু পৃথিবীর বৃহত্তম এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম ইতিহাস তৈরির দিনেই তৈরি করেছে রাজনৈতিক বিতর্কও।
গুজরাটের মোতেরা স্টেডিয়াম এযাবৎ পরিচিত ছিল সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্টেডিয়াম নামে। কিন্তু বুধবার হঠাৎই এই স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তিত করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাটের ভূমিপুত্র নরেন্দ্র মোদীর নামেই স্টেডিয়ামের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘোষণার পর থেকেই নানা মহলে নামকরণ নিয়ে শুরু হয় আলোড়ন। একজন জীবিত ব্যক্তির নামে কোনো স্থানের নাম রাখা যায় কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।
মোতেরা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন নিয়ে বিজেপিকে এদিন তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করেছেন ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। তিনি জানিয়েছেন, এভাবে নামকরণে নরেন্দ্র মোদীকে যুক্ত করা আদতে বিশেষ রাজনৈতিক ইঙ্গিত বহন করছে। খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী থেকে ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী’ হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী, গেরুয়া বাহিনীর এই কাজ থেকেই তা বোঝা যাচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, নিজের বক্তব্যের সপক্ষে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন ভুপেশ বাঘেল। তিনি বলেন, “অটলজি যখন বেঁচে ছিলেন, তখন তাঁর নামে অটল চকের নামকরণ করা হয়েছিল। যখন অটল চকের নাম দেওয়া হয়েছিল তখন তিনি আর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, খুব দ্রুত ওঁর মতোই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদীও।” বস্তুত, বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে বুধবার আন্তর্জাতিক মহলে আত্মপ্রকাশ করেছে মোতেরা।এদিন এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী কিরন রিজিজু এবং বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। এখানেই প্রধানমন্ত্রীর নামে “নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম” নাম ঘোষণা করা হয়।