৬ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে ছত্রধর! শুভেন্দুকে আক্রমণ স্ত্রীর

৬ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে ছত্রধর! শুভেন্দুকে আক্রমণ স্ত্রীর

কলকাতা: প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হতেই এনআইএ গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। রাজধানী এক্সপ্রেস পণবন্দি সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এখন জানা গিয়েছে, আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে থাকতে হবে এনআইএ হেফাজতে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে এনআইএ বিশেষ আদালত। এই ঘটনায় এবার সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলেছেন ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো।

ছত্রধর মাহাতোকে আজ আদালতে পেশ করার পরে এনআইএ আবেদন করেছিল তাকে ১২ দিনের জন্য হেফাজতে রাখতে চায়। কিন্তু দু’পক্ষের আবেদন শোনার পর ছত্রধরকে ৬ দিনের এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফ থেকে। এমনটাই জানিয়েছেন ছত্রধরের আইনজীবী। এর পাশাপাশি যেভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করে সরব হন তিনি। আইনজীবী এও জানিয়েছেন, ছত্রধর মাহাতোর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে স্বামীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলেছেন ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো। তিনি বলছেন, এটি পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। এত বছর ধরে জেলে থাকার পর যখন ছত্রধর বাইরে বেরিয়েছেন, তখন হঠাৎ ভোটের মধ্যে এনআইএর মনে পড়লে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, এই গোটা বিষয়টি তদারকি করেছেন বিজেপি নেতার শুভেন্দু অধিকারী। জঙ্গলমহলে ভোটের পর নন্দীগ্রামে যাতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারণা করতে পারেনি সেই জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

ছত্রধরকে জঙ্গলমহলের মাটি পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রথম দফার ভোট মিটে যেতেই ১২ বছর পুরনো রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে এখনও রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ মামলা ও সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতোর খুনের মামলা রয়েছে। গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ছত্রধর মাহাতো যদি সাম্প্রতিক কোনও ঘটনায় গ্রেফতার হতেন সেটা একরকম হত, কিন্তু এত পুরনো একটা ঘটনায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছত্রধরকে এত ডাকাডাকি এবং শেষ পর্যন্ত গ্রেফতারির টাইমিংটা একটা রাজনৈতিক প্রভাবপুষ্ট অভিসন্ধিমূলক আচরণ বলে মনে হচ্ছে। ছত্রধর দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ করার হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে বন্দী অবস্থাতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − six =