মধ্যমগ্রামের স্কুলে তাণ্ডব, ফি বাড়ানো নিয়ে প্রতিবাদ অভিভাবকদের

অভিভাবকরা দাবি করেন, স্কুল এখন শুধুমাত্র টিউশন ফি নিক। কিন্তু তা তো হয়ইনি উলটে স্যানিটেশন ফি-এর নাম করে বাড়তি টাকা নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

মধ্যমগ্রাম: ফের তাণ্ডব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না হলেও ঘটনার তীব্রতা যথেষ্টই অবাক করার মতো। কলকাতা বিমানবন্দরের অদূরে মধ্যমগ্রামে সুধীর মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট নামক একটি বেসরকারি স্কুল কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এদিন। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সকাল থেকে হাজির হন অভিভাবকরা। চলে ঢিল ছোড়া, পোস্টার প্রদর্শন। স্কুলের রক্ষীদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতাহাতি হওয়ার ভিডিও এসেছে প্রকাশ্যে। 

চলছে প্রবেশদ্বার ভেঙে ফেলার চেষ্টা। 

করোনা পরিস্থিতিতে এখন স্কুল-কলেজ বন্ধ। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তাই অনলাইন ক্লাসের ওপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। এমত পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা দাবি করেন, স্কুল এখন শুধুমাত্র টিউশন ফি নিক। কিন্তু তা তো হয়ইনি উলটে স্যানিটেশন ফি-এর নাম করে বাড়তি টাকা নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। স্কুলের গেটে দাঁড়ানো রক্ষীর সঙ্গে বাক্য বিনিময়ের পর পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। চলে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা। অভিভাবকদের ক্ষোভ প্রধানত স্কুলের অধ্যক্ষ পলাশ রায়ের বিরুদ্ধে।

মহিলা রক্ষীর সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি অভিভাবকদের। 

 

এক পুরুষ রক্ষী ঘটনার ভিডিও তুলতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তার আগে স্কুলের প্রধান প্রবেশদ্বার ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলা হয়। স্কুল প্রাঙ্গণে ওই রক্ষীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। অন্যদিকে মহিলা রক্ষীর সঙ্গেও হাতাহাতির পরিস্থিতি হয় অভিভাবকদের। স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চলে বিষোদগার। ঢিল মেরে ভাঙা হয় স্কুলের কাচের জানালা।  ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া, যা হচ্ছে তা আদালতের নির্দেশ মেনেই হচ্ছে। কোনও অন্যায় করা হয়নি।     
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *