কর্ণাটকে কুর্সি বদল! ৫ বছর পর পরিবর্তনের রাজনীতি দক্ষিণের এই রাজ্যে

কর্ণাটকে কুর্সি বদল! ৫ বছর পর পরিবর্তনের রাজনীতি দক্ষিণের এই রাজ্যে

বেঙ্গালুরুঃ কর্নাটকের কুর্সিতে বসবে কে? বুথ ফেরত সমীক্ষায় সেই প্রশ্ন উঠলেও, শনিবার গণনা শুরুর পর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় ছবি।  দক্ষিণের এই রাজ্যে ‘হাত’ ঝড়ে কার্যত বিধ্বস্ত অবস্থা বিজেপির।

গত ১০ মে, কর্ণাটকের ২২৪টি বিধানসভা আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১১৩ আসন। শনিবার গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসতে হাসতে সেই ম্যাজিক ফিগার পার করে ফেলে হাত শিবির… চব্বিশের লোকসভার আগে মোদী-শাহের কাছে যা বড় ধাক্কার! কোথায় থমকাল মোদীর বিজয় রথ? প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই!

কর্ণাটকের জনমত চিরকালই পরিবর্তনের রাজনীতিতে আস্থা রেখেছে। ১৯৮৫ সাল থেকেই দেখা গিয়েছে, সরকারে থাকা শাসকদল প্রতি বিধানসভা ভোটে বদলে গেছে। তবে ব্যাতিক্রম ছিল ২০০৪ ও ২০১৮। ২০২৩- এ অবশ্য পুরনো ফর্মুলাতেই হাঁটল কর্ণাটকবাসী।  ২০১৮ কর্ণাটক বিধানসভায় বিপুল জয় পেয়েছিল বিজেপি। নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে ছিল- ১০৪ আসন
কংগ্রেস- ৮০ আসন
জনতা দল (সেকুলার)- ৩৭ আসন

এছাড়াও নির্দল, বিএসপি এবং কেপিজেপি ১ টি করে আসন পেয়েছিল। কিন্তু, এবার সেই ম্যাজিক উধাও! কর্ণাটকে কুর্সি বদলের ইঙ্গিত মিলতেই জয়ের আগাম সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের গুরুত্ব শুধুমাত্র রাজ্যের গণ্ডির মধ্যেই আটকে নেই। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে। কর্ণাটকের ফল কীভাবে সমস্যায় ফেলবে বিজেপি-কে? কী সমস্যায় পড়বে বিজেপি?
 
প্রথমত, লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে আসন কমতে পারে বিজেপির। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৮টি আসনের মধ্যে ২৫ টি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, তেইশের বিধানসভায় বিজেপির যে ভরাডুবি, তাতে উনিশের লোকসভা ফলের পুনরাবৃত্তি বিজেপির পক্ষে কঠিন হতে পারে।

যদিও কর্ণাটকে জয়ের ব্যাপারে প্রচার লগ্ন থেকেই আশাবাদী ছিল কংগ্রেস। হাত শিবিরের মতে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা বাড়তি ফ্যাক্টরের কাজ করেছে। ভারত জোড়ো যাত্রায় ১৩৬ দিনে ১২টি রাজ্য জুড়ে ৩৫৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ভোট লগ্নে যা বাড়তি সুবিধা দিয়েছে দ্রাবিড় ভূমের এই রাজ্যে। 
অন্যদিকে, কর্ণাটক ভোটের আগে রাজ্যের ভূমিপুত্র মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কংগ্রেস সভাপতির পদে বসানোর সিদ্ধান্ত সামান্য হলেও মাইলেজ দিয়েছে কংগ্রেসকে।  
গত কয়েক বছরে একের পর এক নির্বাচন হারের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। কর্ণাটকের এই সাফল্য হাত শিবিরকে নতুন ‘অক্সিজেন’ দেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =