বাংলা উন্নয়নের তীর্থস্থান! ‘বহিরাগতদের’ বার্তা দিয়ে রাজ্যের উন্নতির ব্যাখ্যা দিলেন চন্দ্রিমা

রাজ্যের উন্নয়নের বিবরণ দিয়ে পরোক্ষে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন।

 

কলকাতা: গত দু’দিন ধরে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। শশী পাঁজা এবং সুখেন্দু শেখর রায়ের পর আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। গতকালের মতো আজও তিনি রাজ্যের উন্নয়নের বিবরণ দিয়ে পরোক্ষে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন। তাঁর কথায় উঠে এলো বহিরাগতদের প্রসঙ্গ। 

এদিন চন্দ্রিমা বলেন, যে কোনও প্রদেশ থেকেই বাংলায় মানুষ আসুন না কেন, যে রাজ্য থেকেই মানুষ এসে বাংলায় থাকুন না কেন, আমাদের রাজ্যের মানুষ তাদের স্বাগত জানান। বাংলা এমনই একটা প্রদেশ। কিন্তু যদি কোনো বহিরাগতরা তাদের কোনো অদ্ভুত চিন্তা এবং স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবেন বলে লাল চক্ষু দেখান, তাহলে সেই বহিরাগতদের বাংলার মানুষ মানেন না। এদিন তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, দেখা যাচ্ছে, যাদেরকেই বাংলায় পাঠানো হচ্ছে, তাদের কারোর বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সম্পর্কে কোন রকম জ্ঞান নেই। তারা বাংলার অলিগলি চেনেন না, বাংলার ২৩ টি জেলা চেনেন না, বাংলার ৩৮,৬০০ গ্রাম চেনেন না, বাংলার ১০ কোটি মানুষের জন্য কখনো কিছু ভাবেননি। চন্দ্রিমার কথায়, বাংলা উন্নয়নের তীর্থস্থান। এখানে যদি কেউ শিক্ষানবিস হয়ে আসতে চান তাহলে কোন আপত্তি নেই, উন্নয়নের তীর্থস্থানের তীর্থযাত্রীর মত যদি কেউ ভ্রমণ করতে আসেন তাহলে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু দিবাস্বপ্ন দেখার যে লোভ তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, সেই বিষয় নিয়ে আপত্তি রয়েছে।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রবল উন্নতি হয়েছে, যার কান্ডারী অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিজের কাঁধে রেখেছেন কারণ তিনি মানুষের কষ্ট বোঝেন। সেই কারণেই বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মত স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি সাধন করেছেন তিনি। এখন কিছু বহিরাগত বাংলায় এসে উস্কানি ছড়াতে চাইছে। কিন্তু তাদের উচিত, উন্নয়নের এই তীর্থস্থানে এসে শিক্ষা নিয়ে সেই শিক্ষা নিজেদের রাজ্যে গিয়ে ব্যবহার করা, তাহলে সেখানেও পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। একই সঙ্গে চন্দ্রিমা বলেন, তিনি যদি বাংলার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতি সম্পর্কে কথা বলতে চান তাহলে হয়তো সারাদিন লেগে যাবে। কারণ বাংলায় প্রত্যেকটি মানুষ জানেন, বিগত বছরগুলোতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা উন্নতি সাধন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *