নয়াদিল্লি: পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের মায়া কাটিয়ে চাঁদের পথে ঢুকে পড়েছে চন্দ্রযান ৩। লক্ষ্য থেকে বেশ কিছুটা দূরে রয়েছে ইসরোর এই মহাকাশ যান৷ বলা যেতে পারে আপাতত চন্দ্রযান ৩ এর অবস্থান মাঝপথে। অঙ্ক মেনে এভাবে এগোতে থাকলে শনিবার অর্থাৎ ৫ অগাস্ট চাঁদের কক্ষে পৌঁছে যেতে পারে ভারতের চন্দ্রযান। তার আগের দু’দিন কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ চন্দ্রযানের সামনে রয়েছে বড় ঝুঁকি৷
৩১ জুলাই নিজের গতি বাড়িয়ে পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের কক্ষের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩। এর পরে চাঁদের আকর্ষণক্ষেত্রে ঢুকে পড়বে তৃতীয় চন্দ্রযান। তার পর চাঁদের আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে তার চারপাশে বেশ কয়েক পাক চক্কর কেটে ক্রমশ গতি কমিয়ে আনবে সে৷ এর পর ধীরে ধীরে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে যাবে। তার পরই শুরু হবে কঠিন পরীক্ষা। পালকের মতো ভাসতে ভাসতে খুব আলতো করে চাঁদের পিঠে অবতরণ করাতে হবে ল্যান্ডার বিক্রমকে। এর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে চন্দ্র অভিযাত্রী যান প্রজ্ঞান৷ এর পরেই চাঁদের মাটিতে ইতিহাস লিখবে ভারত। কিন্তু সেই দিন আসতে এখনও দেরি রয়েছে৷ গত বার এই সফট ল্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২। এ বার সেই ভুল শুধরে সফল ল্যান্ডিং করতে পারবে কি না সেটাই দেখার। তবে তারও আগে চন্দ্রযান-৩কে যথাযথ ভাবে স্থাপন করতে হবে চাঁদের কক্ষে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অঙ্কে সামান্য ভুলে হলেই চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছতে ব্যর্থ হবে চন্দ্রযান-৩৷ আবার তা ঘুরে চলে আসবে পৃথিবীর কক্ষপথে। সেখান থেকে তাঁকে ফের চাঁদে পাঠানোর মতো জ্বালানি আর থাকবে না। সে ক্ষেত্রে চন্দ্রযান-৩কে ‘লস্ট মিশন’ বা ব্যর্থ অভিযান বলেই ধরে নেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেমনটা হলে চন্দ্রযান-৩কে ভূপৃষ্ঠে ফেরানোর চেষ্টা করবে ইসরো।